বরিশালের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপদাহ। এর ফলে জনজীবন এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছে। টানা তিনদিনের এই তাপদাহ বরিশালে বেশ প্রভাব ফেলেছে।
তবে আবাহাওয়া অফিস বলছে অন্য বিভাগের চেয়ে তাপমাত্রা তুলনামূলক কম। এ ছাড়া দেশের বাকি অঞ্চলে বয়ে যাচ্ছে মৃদু থেকে তীব্র তাপদাহ। রাজধানীসহ প্রায় সারা দেশেই পড়েছে অসহ্য গরম।
তীব্র গরমে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত। রাজধানীতেও ঘরে থাকা দায়। অনেকে বলছেন, বিছানায় গা এলিয়ে দিলে মনে হয় যেন চিতায় উঠেছি। ফ্যানের বাতাস থামাতে পারছে না ঘাম। বাইরের অবস্থা আরও নাজুক।
রাজধানীবাসীর দুর্ভোগ যেন আরো বেশি। একে তো গরম, তারওপর যানজট। তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রির আশপাশে থাকলেও অনভূতি হচ্ছে ৪০ ডিগ্রির মতো। এখন রমজান মাস চলায় কষ্টটা আরও বেড়েছে।
এদিকে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বাতাসের কমতি নেই। তাপপ্রবাহ বেড়ে যাওয়ার কারণে গরম বেশি লাগছে। তবে আগামী তিন দিনে এই অবস্থার উন্নতি হবে। বুধ-বৃহস্পতিবারের দিকে বৃষ্টিপাত হতে পারে।
চলতি মৌসুমে এ পর্যন্ত ৮টি তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে। এরমধ্যে দুটি রূপ নিয়েছে তীব্র তাপপ্রবাহে। গত ১৫ এপ্রিল রাজশাহীতে থার্মোমিটারের পারদ উঠেছিল ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রিতে, যা ছিল গত ৮ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। আর রোববার (২৪ এপ্রিল) রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা মৌসুমের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশীদ জানিয়েছেন, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ হিমালয়ের পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ অবস্থান করছে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে।
এ অবস্থায় সোমবার (২৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা পর্যন্ত সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়ার সঙ্গে প্রবল বিজলী চমকানোসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
তিনি জানান, বর্তমানে রাজশাহী, পাবনা, যশোর এবং চুয়াডাঙ্গা অঞ্চলে তীব্র তাপপ্রবাহ; রংপুর, দিনাজপুর, নীলফামারী ও পটুয়াখালী অঞ্চলসহ ঢাকা বিভাগ, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ চট্টগ্রাম, সিলেট ও বরিশাল বিভাগ বাদে দেশের অন্য বিভাগগুলোতে তীব্র থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক জানিয়েছেন, আগামী বুধ-বৃহস্পতিবারের (২৭-২৮ এপ্রিল) দিকে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে। সে সময় গরম কিছুটা কমবে।