আজ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে পাকিস্তানের নাগরিক হয়ে গেলেন ড্যারেন স্যামি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক এই অধিনায়ক পাকিস্তানের নাগরিকত্ব চেয়েছিলেন। আজ (রোববার) ইসলামাবাদে নাগরিকত্বের সর্বোচ্চ বেসামরিক অ্যাওয়ার্ড দিয়ে সম্মানিত করা হয়েছে তাকে।
পাকিস্তানের মাটিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফেরানোর ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রেখে চলেছেন স্যামি। এমন একজন উপকারী বন্ধু নাগরিকত্ব চাইলেন, আর সেটা নাকচ করে দেবে পাকিস্তান, তা কি হয়!
শনিবার পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি তার কাছে পাঠানো ড্যারেন স্যামির আবেদনপত্রে স্বাক্ষর করে দেন। আজ আনুষ্ঠানিকভাবে পাকিস্তানি নাগরিক হিসেবে দেশটির সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার ‘নিশান-ই পাকিস্তান’ গ্রহণ করেন স্যামি।
ড্যারেন স্যামি একমাত্র ক্রিকেটার যিনি দু’বার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছেন। দু’বারের বিশ্বকাপ জয়ী ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক ডারেন স্যামি পাকিস্তানের নাগরিক হওয়ার বিষয়ে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছেন জাভেদ আফ্রিদি। যিনি পিএসএলে পেশোয়ার জালমির মালিক। তার অনুপ্রেরণাতেই নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেন স্যামি।
২০১৬ সাল থেকেই পিএসএলে পেশোয়ার জালমির হয়ে খেলছেন স্যামি। টানা পাঁচ মৌসুম পাকিস্তান সুপার লিগে খেলছেন। প্রতিবারই পাকিস্তানে এসে সে দেশের প্রতি ভালোবাসার কথা জানিয়েছেন। স্যামিই প্রথম আন্তর্জাতিক তারকা ক্রিকেটার, যিনি পাকিস্তানের মাটিতে খেলতে রাজি হয়েছিলেন। তখন থেকেই এই ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটারের পাকিস্তান প্রেম।
পাকিস্তানের নাগরিকত্ব পেয়ে উচ্ছ্বসিত স্যামি টুইট করেছেন, ‘আমি এই বেসামরিক পুরস্কার পেয়ে সম্মানিত বোধ করছি। ২০১৭ সালে আমরা সঠিক পথে ছোট একটা পদক্ষেপ নিয়েছিলাম, আজ এখানটা দেখুন। বিদেশি সব খেলোয়াড় এখানে খেলছে। ধন্যবাদ পাকিস্তান আমাদের প্রতি এমন ভালোবাসা দেখানোয়। আমরা শুধু চেয়েছি তোমাদের ঘরের মাঠে ক্রিকেটটা ফিরুক। ভালোবাসা জিতেছে।’