বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) সিনিয়র ক্যামেরাম্যান আলতাফ হোসেনের লাশ দাফনের ৪ বছর ৩ মাস পর কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার কানুদাসকাঠি পারিবারিক গোরস্থান থেকে তার লাশ উত্তোলন করা হয়। সোমবার দুপুর ২টায় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাখাওয়াত হোসেনের নেতৃত্বে লাশ উত্তোলন করা হয়।
এ সময় সময় উপস্থিত ছিলেন- রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মো. আসাদুজ্জামান, অফিসার ইনচার্জ (প্রশাসন) মো. শামসুল আরেফিন ও ওসি (তদন্ত) হারুন অর রশিদ।
আলতাফ হোসেনের স্ত্রী ছবি আক্তার সাবিনা বাদী হয়ে হত্যাকাণ্ডের ৩ বছর ৭ মাস পর ঝালকাঠি সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতে অভিযোগ করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে আদালত রাজাপুর থানার ওসিকে মামলা রেকর্ডের নির্দেশ দেন।
নিহতের স্ত্রী ছবি আক্তার সাবিনা মামলায় উল্লেখ করেন, আলতাফ হোসেনের সঙ্গে স্থানীয় জাহিদুল ইসলাম লিটন ওরফে সাদু হাওলাদার (৪০), মো. রেজোয়ান হাওলাদার (৪২), মো. মুজাম্মেল হাওলাদার (৪৫), মো. সিদ্দিকুর রহমানের (৪৮) জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব ছিল।
এছাড়া আলতাফ হোসেন দুটি বিয়ে করায় প্রথম সংসারে দুই ছেলে ও দুই মেয়ে সন্তান আছে। প্রথম সংসারের মেয়ে লাইজু আক্তারের সঙ্গে জাহিদুল ইসলাম লিটনের অবৈধ সম্পর্ক ছিল। এই সুযোগে জমি আত্মসাতের উদ্দেশ্যে উল্লেখিতরা আলতাফকে হত্যা করে।
গতকাল রোববার আদালতে বিষয়টি অবহিত করার পর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সেলিম রেজা আলতাফ হোসেনের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করে পরীক্ষার জন্য নির্দেশ দেন।
মামলার বাদী ছবি আক্তার সাবিনা বলেন, আমার স্বামীকে হত্যা করার পর থেকে আমাকে, আমার সন্তানকে নানাভাবে হত্যার ষড়যন্ত্র করছে আসামিরা। আমরা তাদের কারণে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারছি না।
রাজাপুর থানা পুলিশের ওসি মো. শামসুল আরেফিন জানান, আদালতের নির্দেশক্রমে কবর থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। দাফনের ৪ বছর ৩ মাস পর শরীরের বিভিন্ন অংশের কিছু হাড্ডি এবং মাথার খুলি ছাড়া কিছুই পাওয়া যায়নি।
রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মো. আসাদুজ্জামান জানান, আদালতের নির্দেশে কবর থেকে কিছু হাড্ডি ও মাথার খুলি উত্তোলন করা হয়েছে। এগুলো পরীক্ষার জন্য মহাখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হবে।