ঝালকাঠিতে পারিবারিক বিরোধের জেরে পারভিন আক্তার নামে (২৫) এক গৃহবধূকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (১৩ অক্টোবর) সদর উপজেলার বেরমহল গ্রামের বাড়ির পাশের একটি ডোবা থেকে ওই গৃহবধূর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার পর থেকে পলাতক আছেন স্বামী তানজিল হাওলাদার।
নিহত পারভিন আক্তার চাঁদপুরের সদর উপজেলার কল্যাণদি এলাকার জিন্নাত আলী মোল্লার মেয়ে। তার স্বামী তানজিল হাওলাদার ঝালকাঠির সদর উপজেলার বেরমহল গ্রামের মৃত আবু হানিফের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, তানজিল হাওলাদার ও পারভিন আক্তারের ১৮ মাস বয়সী কন্যা সন্তান রয়েছে। গত এক বছর ধরে স্বামী ও শাশুড়ির সঙ্গে বিরোধ চলছিল তার।
এর জেরে একমাস আগে সন্তানকে নিয়ে ঢাকায় চলে যান পারভিন আক্তার। কিছুদিন আগে তিনি জানতে পারেন যে তার স্বামী তাকে খোলা তালাক দিয়েছেন।
এর সত্যতা যাচাই করতে মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) সকালে ঝালকাঠি যান তিনি। সেখানে স্বামীর বাড়ির পাশের একটি ঘরে ওঠেন তিনি।
রাত ১১টার দিকে একটি ফোন পেয়ে বাইরে বের হওয়ার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। পরে বুধবার সকালে বাড়ির পাশের একটি ডোবা থেকে তার রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ঝালকাঠির পুলিশ সুপার ফাতিহা ইয়াসমিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) প্রশান্ত কুমার দে, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খলিলুর রহমান ।
ঝালকাঠি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খলিলুর রহমান জানান, গৃহবধূর শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
তাকে পিটিয়ে ও গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী তানজিল হাওলাদার পলাতক রয়েছেন বলেও জানান তিনি।