জাতপাতের বেড়াজাল ভেঙে অসহায়দের পাশে বরিশাল সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ

লেখক:
প্রকাশ: ৫ years ago

বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ। যিনি সর্বদাই থাকেন কর্মব্যস্ত। কখনো দাপ্তরিক কাজ আবার কখনো নগর উন্নয়ন। সমস্যা কিংবা সম্ভাবনার খবর পেলেই ছুটে চলেন অবিরাম।

কিন্তু তার মধ্যেও সাধারণ মামুনের খোঁজ খবর নিতে ভোলেন না নগর পিতা সাদিক আবদুল্লাহ। সমাজের সব থেকে নীচু শ্রেণির মানুষ, যাদের খোঁজ নেয়ার সময় পানেনা বিত্তবানরা তাদেরকেই আপন করে কাছে ডেকে নেন তিনি।

তাইতো শত ব্যস্ততার মাঝেও সামন্য সময় পেলেই ছুটে যান ওইসব নীচু শ্রেণির মানুষের কাছে। খোঁজ খবর নেন তাদের দুঃখ-দুর্দষার। সাধ্যমত চেষ্টা করেন তাদের দুঃখ-দূর্দষা লাঘবের। তাছাড়া নগর পিতার সামনে পর্যন্ত আসতে পেরে কেউ শূণ্য হাতে ফিরেছে তার নজিরও খুঁজে পাওয়া দুস্কর।

এদিকে সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দিনভর অনেকটা বৃষ্টির মধ্যে দিয়ে কাটিয়েছে নগরবাসি। বৃষ্টিতে শীতল আবহাওয়ায় সবাই যখন ঘরের মধ্যে ঊষ্ণতা খুঁজে চলেন ঠিক তখনই রাস্তার পাশে খেটে খাওয়া মানুষেল খোঁজে বেরিয়ে পড়েন মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ।

ফুটপাতে ভিক্ষাবৃত্তি করা এবং অসহায় ও পঙ্গু মানুষগুলোর খুব নিকটে গিয়ে কথা বলেন তিনি। জানার চেষ্টা করেন তাদের সমস্যার কথা। তার এমন উদারতা শুধু মাত্র নিম্নশ্রেণির ওই মানুষগুলোর আত্মতৃপ্তি বাড়ায়নি, বরং মেয়রের এমন উদারতা অন্যসব বিত্তবানদের হৃদয়কেও নাড়া দিয়েছে।

এর আগে গত রোববার দুপুরে বৃষ্টি উপেক্ষা করে হঠাৎ করেই নগর ভবনে যান সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ। নগর ভবনে ঢুকে খোঁজ খবর নেন সেবা গ্রহিতাদের। তাদের সমস্যা সম্ভাবনার কথা শোনেন।

ব্যস্ততার মধ্যে নীচতলা থেকে দ্বিতীয় তলায় নিজের কক্ষের দিকে রওয়ানা হন। হঠাৎ করেই আবার পেছনের দিকে ফিরে আসেন। যা দেখে অনেকটা অবাক হন তার সাথে থাকা অন্যান্য কাউন্সিলররা। কেননা পেছনে এসেই হাটু গেড়ে বসে পড়েন মেয়র। কারন নগর ভবনের নীচতলায় দেয়াল ঘেষে বসা ছিলেন একজন ক্যান্সার আক্রান্ত পঙ্গু লোক।

যিনি সকলের চোখ এড়িয়ে যান। কিন্তু একমাত্র ব্যক্তি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ’র চোখ এড়াতে পারেননি। পরে পঙ্গু ওই ভিক্ষুককে বসানোর ব্যবস্থা করেন জনসংযোগ কর্মকর্তার কক্ষে। ব্যবস্থা করেন চা পানের। এমনকি নগর ভবন থেকে বের হওয়ার সময় পকটে হাত দিয়ে কয়টি টাকা পেয়েছেন তার সবটুকুই তুলে দেন ওই পঙ্গু ভিক্ষুক এর হাতে। পরে গুনে দেখা যায় সেখানে ১০ হাজার ২শত টাকা ছিলো। এখানেও মেয়র সাদিকের এমন উদারতা মুগ্ধ করে উপস্থিত সকলকে।

বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা বেলায়েত হাসান বাবলু বলেন, ‘মেয়র মহোদয় সব সময় ব্যস্ত থাকেন। তার মধ্যেও তিনি সমাজের দুস্থ এবং পিছিয়ে পড়া মানুষের কথা ভোলেন না। সময় পেলেই তিনি ছুটে যান তাদের খোঁজ খবর নিতে। এটা তার একটি বিশেষ গুন বলে আমি মনে করি। তার এই গুনের কারনেই আজ তিনি সকলের কাছে স্নেহ এবং ভালোবাসার ব্যক্তিতে পরিনত হয়েছেন।