ছয় মাসে সর্বনিম্ন রেমিট্যান্স আগস্টে

:
: ১০ মাস আগে

সদ্য সমাপ্ত আগস্ট মাসে প্রবাসীরা বৈধ পথে ও ব্যাংকের মাধ্যমে দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ ডলার। যা গত ছয় মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন রেমিট্যান্স। রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

 

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য বলছে, আগস্টে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দেশে এসেছে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ ডলার। যা আগের বছরের আগস্টের তুলনায় ৪৩ কোটি ৭৪ লাখ ডলার কম। গত বছরের আগস্টে রেমিট্যান্স এসেছিল ২০৩ কোটি ৬৯ লাখ ডলার।

এছাড়া, গত জুলাইয়ের তুলনায় আগস্টে প্রবাসী আয় কমেছে। গত জুলাই মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৯৭ কোটি ৩১ লাখ ডলার। অর্থাৎ জুলাইয়ের চেয়ে আগস্টে ৩৭ কোটি ৩৭ লাখ ডলার কম এসেছে।

 

প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, আগস্ট মাসে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৮ কোটি ৩১ লাখ ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ৩ কোটি ৩৯ লাখ ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১৩৭ কোটি ৬০ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৬৩ লাখ ১০ হাজার ডলার।

আগস্টে মাসে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে। আলোচিত সময় ব্যাংকটির মাধ্যমে এসেছে ৩৪ কোটি ডলার।এরপর সোস্যাল ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১২ কোটি ৭৪ লাখ ডলার, ব্র্যাক ব্যাংকের মাধ্যমে ৮ কোটি ৯২ লাখ ডলার, আল-আরাফা ব্যাংকের মাধ্যমে ৭ কোটি ৩৩ লাখ ডলার এবং জনতা ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৬ কোটি ৭৪ লাখ ডলার।

 

খাত সংশ্লিষ্টরা জানান, ব্যাংকের চেয়ে খোলা বাজারে যখন ডলারের দামের ব্যবধান বেশে হয় তখন হুন্ডি বেড়ে যায়। আর যখন হুন্ডির চাহিদা বাড়ে তখন রেমিট্যান্স কমে যায়।

২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ১৬১ কোটি ৬ লাখ ডলার। ২০২১-২২ অর্থবছরে ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ ডলার। ২০২০-২১ অর্থবছরে রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ ডলার।

ডলার সংকট ও বাজার স্থিতিশীলতার জন্য রপ্তানি ও প্রবাসী আয় এবং আমদানি দায় পরিশোধের ক্ষেত্রে ডলারের দাম নির্ধারণ করে আসছে ব্যাংকগুলো। বর্তমানে রেমিট্যান্সে ব্যাংকগুলো প্রতি ডলারে ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা দাম দিচ্ছে। রপ্তানি বিল নগদায়নে প্রতি ডলারের বিপরীতে দাম দিচ্ছে ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা এবং আমদানি ও আন্তঃব্যাংক লেনদেনে সর্বোচ্চ ১১০ টাকা।