চোখ উপড়ে হত্যা, পুলিশ বলছে কবির সাবেক সেনাসদস্য

লেখক:
প্রকাশ: ৭ years ago

শরীয়তপুর সদর উপজেলায় ডাকাত সন্দেহে চোখ উপড়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা সেই ব্যক্তির পরিচয় মিলেছে। নিহত ব্যক্তির নাম কবির খান (৪০)।

শনিবার সন্ধ্যায় পুলিশের তদন্তে মিলল কবিরের ঠিকানা। কবির খান জেলার গোসাইরহাট উপজেলার নাগেরপাড়া ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামের মৃত আনসার উদ্দিন খানের ছেলে। কবির চাকরিচ্যুত সাবেক সেনাসদস্য।

শনিবার সন্ধ্যায় কবিরের ব্যাপারে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন পালং মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার পূর্ব চররোসুন্দি গ্রামে ডাকাতি হচ্ছে- এমন খবর পেয়ে শুক্রবার রাতে ওই গ্রামে যায় পুলিশ। তখন গ্রামের একটি বাগানে দুই চোখ উপড়ানো অবস্থায় কবিরকে পড়ে থাকতে দেখে। তখন কবিরকে উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শনিবার সকালে কবিরের মৃত্যু হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ সদর হাসপাতালের মর্গে নেয়া হয়।

কবিরের স্ত্রী জপি বেগম বলেন, আমার স্বামী ঢাকায় একটি কোম্পানিতে চাকরি করতো। জানতাম না ডাকাতি করতো। আমার চার মেয়ে। আমি ওদের নিয়ে কীভাবে বাঁচবো।

শরীয়তপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল হান্নান জানান, শুক্রবার রাতে ১০-১৫ জন ডাকাতের একটি দল রুদ্রকর ইউনিয়নের পূর্ব চররোসুন্দি গ্রামে ডাকাতির জন্য হানা দেয়।

ওই রাতে গ্রামের জাকির নামে এক যুবক বিয়ে বাড়ি থেকে ফিরছিল। জাকির ডাকাত আসছে টের পেয়ে চিৎকার শুরু করলে আশপাশের লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে ডাকাত ডাকাত বলে তাদের ঘিরে ফেলে।

এ সময় তারা কবিরকে ধরে গণপিটুনি দেয় এবং তার দুই চোখ উপড়ে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ কবিরকে উদ্ধার করে। কবিরের বিরুদ্ধে এর আগেও ডাকাতির একাধিক মামলা ছিল। কবির চাকরিচ্যুত সাবেক সেনাসদস্য। তবে বিষয়টি এখনও তদন্ত করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।