আওয়ামী লীগ চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সাবেক সভাপতি ও সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর কুলখানিতে চার কারণে পদদলিত হয়ে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে উল্লেখ করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটি।
বৃহস্পতিবার বিকেলে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মাশহুদুল কবীরের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের কমিটি জেলা প্রশাসকের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয়।
চার কারণের মধ্যে আছে- আয়োজনে অব্যবস্থাপনা, রীমা কমিউনিটি সেন্টারের প্রবেশ পথের নির্মাণ ত্রুটি, মানুষের অতিরিক্ত ভিড় এবং অপর্যাপ্ত স্বেচ্ছাসেবক। প্রতিবেদনে কয়েকটি সুপারিশও করা হয়েছে। এর মধ্যে আছে- রীমা কমিউনিটি সেন্টারের প্রবেশ পথের নির্মাণ ত্রুটি সারানো, পর্যাপ্ত স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ দেয়া, আগামীতে এ ধরণের বড় আয়োজনে সর্তকতা অবলম্বন করা।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক জিল্লুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘এ ধরণের বড় আয়োজনে অব্যবস্থাপনাই দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ। আয়োজনের ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি রীমা কমিউনিটি সেন্টারের প্রবেশ পথে নির্মাণ ত্রুটি ছিল। ভবিষ্যতে এ ধরণের বড় আয়োজনের আগে যেন সব ধরণের প্রস্তুতি নেয়া হয়।’
এর আগে গত ২১ ডিসেম্বর এই ঘটনায় পুলিশ তদন্ত প্রতিবেদন দেয়। সেই প্রতিবেদনেও অতিরিক্ত ভিড়ের পাশাপাশি অব্যবস্থাপনা ও রীমা কমিউনিটি সেন্টারের নির্মাণ ত্রুটির কারণ উল্লেখ করা হয়। তবে রীমা কমিউনিটি সেন্টারের প্রবেশ পথে নির্মাণ ত্রুটি সারাতে গত ২৫ ডিসেম্বর থেকে কাজ শুরু করেছে মালিক কর্তৃপক্ষ।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ ডিসেম্বর নগরীর ১৩টি কমিউনিটি সেন্টার এবং মহিউদ্দিন চৌধুরীর বাসায় কুলখানির আয়োজন করা হয়। এর মধ্যে রীমা কমিউনিটি সেন্টারে মেজবান চলমান অবস্থায় মানুষের অতিরিক্ত ভিড়ে প্রবেশের সময় পদদলনে ১০ জনের মৃত্যু হয়।