কোটিপতি নন, রাখির স্বামী মূলত ড্রাইভার

:
: ১ বছর আগে

আদিল ডুরানিকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন বলিউডের আলোচিত অভিনেত্রী রাখি সাওয়ান্ত। কিন্তু দাম্পত্য সম্পর্কে চূড়ান্ত তিক্ততা দেখা দিয়েছে। বিকৃত যৌনাচার, শারীরিক নির্যাতন, পরকীয়া, অর্থ-গহনা চুরি এবং পণ নেওয়ার অভিযোগে স্বামীর নামে মামলা করেছেন রাখি। এ মামলায় আদিলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, বর্তমানে জেলহাজতে রয়েছেন তিনি।

সময়ের সঙ্গে আদিলের মুখোস খুলে যাচ্ছে। তার বিরুদ্ধে ইরানি এক নারী ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। এবার রাখি জানালেন, আদিল কোটিপতি নন, বরং পেশায় একজন ড্রাইভার। স্বামী আদিল খান ডুরানির মাইসুরুর বাড়িতে গিয়ে এসব তথ্য জানতে পারেন। যা এক ভিডিও বার্তায় জানিয়েছেন রাখি।

ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা ভিডিওতে রাখিকে বলতে শোনা যায়, তিনি শ্বশুরবাড়ি এসেছেন। একটি দোতলা বাড়ি দেখিয়ে বলেন, এটা আদিলের বাড়ি। কিন্তু বাড়ির গেটে তালা ঝুলছে। এরপর রাখিকে আদিলের প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলেন। রাখি তাদের জানান, তার মায়ের চিকিৎসার জন্য আদিলকে টাকা দিয়েছিলেন। কিন্তু সে টাকা তার মায়ের চিকিৎসার জন্য খরচ করেননি। আর এজন্য তার মা মারা যান। আদিলের প্রতিবেশীদের কাছে নিজেকে ফাতিমা বলে পরিচয় দেন রাখি। প্রতিবেশীরা রাখিকে জানান— আদিলের মা কারো সঙ্গে কথা বলেন না।

হিন্দুস্তান টাইমস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বলিউড অভিনেত্রী শার্লিন চোপড়ার সঙ্গে মাইসুরু শহরে গিয়েছিলেন রাখি। সেখানে গিয়ে জানতে পারেন, আদিল তাকে যা যা বলেছেন, সবটাই মিথ্যা। আদিলের মাথায় কোনো চুল নেই, পুরোটাই টাক, আদিল আবার উভকামী। মাইসুরুতে আদিলের প্রাক্তন প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করে তার মাথার টাকের কথা জানতে পারেন রাখি। আদিল আসলে পেশায় গাড়ি চালক, বস্তিতে থাকেন। অথচ রাখির কাছে কোটি টাকার গল্প শুনিয়েছেন আদিল।

আরেকটি ভিডিওতে রাখি বলেন, ‘আমি জানতাম না যে আদিল আব্বাসজির গাড়ির ড্রাইভার। আমি ওর বাড়ি দেখতে গিয়ে জানতে পারি আদিল আসলে বস্তিতে থাকে। গরিব মানুষের সঙ্গে আমার কোনো সমস্যা নেই, তবে মিথ্যা বলা উচিত হয়নি।’

এর আগে কর্নাটকের মাইসুরু আদালতের বাইরে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের রাখি সাওয়ান্ত বলেন, ‘আদিল আমাকে বিয়ে করেছে। আদিলের বাবার সঙ্গে কথা হয়েছে। উনি বললেন, ওরা আমাকে মানতে পারবেন না। কারণ আমি হিন্দু। আমি তখন ওদের বলি, আমি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছি, আপনার ছেলে আমাকে বিয়ে করেছে। একথা শুনে উনি আমার ফোনের লাইন কেটে দেন। আদিল সবসময় আমাকে তালাক দেওয়ার হুমকি দেয়।’

স্বামীর সঙ্গে তিক্ততা আদালত পর্যন্ত গড়ালেও বিয়েবিচ্ছেদ চান না রাখি। তার ভাষায়— ‘আমি আদিলকে ডিভোর্স দিতে চাই না, আমি ওর স্ত্রী। ওর বাবা আমার সঙ্গে খুব খারাপ ব্যবহার করেছে। আমি মাইসুরুর কাউকে চিনি না, তবে আমি বিচার চাই। আমি ইসলাম কবুল করেছি। আমার বিয়ের সব কাগজপত্র আমার কাছে আছে। এখন আমাকে কোথায় যেতে হবে, কী করা উচিত তা আপনারাই বলুন।’

এক বছর আগে মাইসুরুতে আদিলের সঙ্গে রাখির দেখা হয়। আট মাস আগে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে আদিলের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন রাখি। তাদের বিয়ের রেজিস্ট্রি হয়েছে মুম্বাইতে। আদিল তাকে প্রতিশ্রুতি দেন যে, তারা একসঙ্গে থাকবেন, তাদের সন্তান হবে এবং একসঙ্গে আরো অনেক কিছু করবেন।