কেমন হবে আফগানিস্তান সিরিজের দল?

:
: ২ years ago

দেখতে দেখতে বিপিএল শেষের পথে। আজ (শনিবার) রবিন লিগের শেষ দিন। মিনিস্টার বরিশাল আর কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের সাথে সুপার ফোরে খেলবে কোন দুই দল, তা জানা যাবে আজ রাতেই।

এদিকে বিপিএল শেষ হওয়ার আগেই বেজে উঠেছে বাংলাদেশ আর আফগানিস্তান সিরিজের ডংকা। আজ বিকেলে রাজধানীতে পা রাখছে আফগান ক্রিকেট দল।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছে ঘন্টা দুয়েকের মধ্যে সিলেটে ছুটবে আফগানরা। আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সিলেটেই কন্ডিশনিং ক্যাম্প করবে আফগানিস্তান।

তারপর ওয়ানডে সিরিজ খেলতে চলে যাবে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আগামী ২৩ মার্চ প্রথম ওয়ানডেতে তামিম ইকবালের বাংলাদেশের মুখোমুখি হবে রশিদ-মুজিবদের আফগানিস্তান।

মাঝে টেস্ট আর টি-টোয়েন্টিতে ডুবে থাকলেও অনেক দিন ওয়ানডে খেলা হয়নি টাইগারদের। গত বছর জুলাই মাসে জিম্বাবুয়ের মাটিতে জিম্বাবুয়ানদের সঙ্গে সর্বশেষ ওয়ানডে খেলেছিল বাংলাদেশ।

ধারণা করা হচ্ছে, ১৯ বা ২০ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে টিম বাংলাদেশের প্রস্তুতি। বিপিএলের কারণে তার আগে অনুশীলন শুরুর উপায়ও নেই। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, বাংলাদেশ দল ঘোষণা কবে? যতদূর জানা গেছে, আগামী ১৫ থেকে ১৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে দল দিয়ে দেবেন নির্বাচকরা।

প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু  বলেছেন, ‘আমরা দল সাজানোর কাজ শুরু করেছি। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ১৫ থেকে ১৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে দল বোর্ডে জমা দিয়ে দেবো।’

প্রথমে ওয়ানডে সিরিজ চট্টগ্রামে, পরে টি-টোয়েন্টি সিরিজ ঢাকায়; আপনারা কি একসঙ্গে দুই দল দেবেন, নাকি আগে ওয়ানডে পরে টি-টোয়েন্টি দল ঘোষণা?

কাছ থেকে এ প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে নান্নু জানান, ‘যেহেতু ওয়ানডে সিরিজ আগে, তাই আমরা প্রথম ওয়ানডে দলই ঘোষণা করবো।’

এটুকু বলেই শেষ করেননি নান্নু। বলেছেন, দ্বিতীয় ও অন্য বিকল্প চিন্তাও আছে তাদের মাথায়। সেটা কী? ‘আমরা দুই দল একসঙ্গেও দিয়ে দিতে পারি। সেটা আজ (শনিবার) না হয় কাল রোববারের মধ্যে বসে ঠিক করা হবে’-যোগ করেন প্রধান নির্বাচক।

জিম্বাবুয়ের সঙ্গে যে দলটি ছিল, তাতে বড় ধরনের না হলেও পরিবর্তন ঠিকই আসবে। যেমন- অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের থাকার কোনোই সম্ভাবনা নেই।

পিঠের চোটে এ পেস বোলিং অলরাউন্ডার এখন মাঠের বাইরে। মাত্র ইংল্যান্ড থেকে চিকিৎসক দেখিয়ে দেশে ফিরেছেন। এখন আছেন বিশ্রামে। নেই বিপিএলেও। তাই সাইফউদ্দিনের খেলার প্রশ্নই আসে না।

এছাড়া ফাস্ট বোলার তাসকিন আহমেদের খেলা নিয়েও আছে সংশয়। তারও পিঠের ব্যথা। সিলেট সানরাইজার্সের হয়ে খেলতে নেমে ছিটকে পড়েছেন এই পেসার। এখনও অবশ্য ১০-১১ দিন বাকি। তাসকিনের সেরে ওঠার সময় আছে যথেষ্টই। তারপরও এ দ্রুতগতির বোলারের দলে থাকা পুরোপুরি নিশ্চিত নয়।

বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলামের এবার দলে থাকার সম্ভাবনা কম। বাকিদের মধ্যে অধিনায়ক তামিম ইকবাল, ফর্মে ফেরা লিটন দাস, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ অটো চয়েজ।

সঙ্গে কিপার কাম মিডল অর্ডার নুরুল হাসান সোহান, অফস্পিনিং অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজ, পেসার মোস্তাফিজুর রহমান ও শরিফুল ইসলামেরও দলে থাকা একরকম নিশ্চিত।

তবে ওপেনার নাইম শেখকে নিয়ে আছে রাজ্যের সংশয়। ফর্ম খুব খারাপ। বিপিএলে এসে নিজেকে হারিয়ে ফেলেছেন এ বাঁহাতি ওপেনার। অন্যদিকে লিটন দাস আছেন ফর্মের চূড়োয়। অধিনায়ক তামিম ইকবালের ব্যাটও হাসছে। কাজেই নাইম শেখ বাদ পড়লে অবাক হবার কিছু থাকবে না।

পাশাপাশি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সর্বশেষ ওয়ানডে সিরিজে থাকা মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত আর মোহাম্মদ মিঠুনও বিপিএলে সেভাবে নিজেদের মেলে ধরতে পারেননি।

তবে ফরমেট যেহেতু ভিন্ন। আর নাইম শেখের মতো বিপিএলে ‘ব্যর্থ’ হলেও বিসিএলে ভালো খেলেছেন মোসাদ্দেক-মিঠুন। কাজেই তাদের থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে বেশ।