কলকাতার “বাংলা এক্সপ্রেস এওয়ার্ড পেলেন কবি এ কে সরকার শাওন।

লেখক:
প্রকাশ: ২ years ago

“প্রথমে সমস্ত প্রশংসা মহান আল্লাহর! অতঃপর কৃতজ্ঞতা ও সাধুবাদ কলকাতার বাংলা এক্সপ্রেস দলকে আমাকে “বাংলা এক্সপ্রেস এওয়ার্ড ২০২১ (সাহিত্য )” প্রদানের এর জন্য। না চেয়েও এই জীবনে অনেক কিছু পেয়েছি৷ যার মধ্যে অন্যতম বাংলা এক্সপ্রেস এওয়ার্ড ২০২১!”

উপরের কথাগুলো কবি এ কে সরকার শাওনের। কবি শাওনের জন্ম ১৯৬৭ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের গোপালপুরে। পিতা মো: আবদুল গনি সরকার একজন সরকারী কর্মকর্তা ছিলেন এবং মাতা মিসেস সালেহা গনি সরকার ছিলেন একজন আদর্শ গৃহিনী। ছাত্র জীবন থেকেই তিনি নিয়মিত লিখছেন।


তিনি বাংলা এক্সপ্রেস এওয়ার্ডটি পান ২০২১ সালে। কিন্তু করোনার প্রকোপের কারনে তখন এওয়ার্ড কলকাতায় যেতে পারেন নি। বাংলা এক্সপ্রেসের সম্পাদক জনাব রাজু আলম কবির পক্ষে নিজেই এওয়ার্ডটি গ্রহন করেছিলেন । সম্প্রতি তিনি ও তাঁর দল ঢাকায় এসেছেন। এক ফাঁকে কবির উত্তরখানের বাসভবন “শাওনাজ ভবনে” গিয়ে “বাংলা এক্সপ্রেস এওয়ার্ড টি কবিকে হস্তান্তর করেন। সাথে ছিলো বিভিন্ন উপহার সামগ্রী।

প্রতিক্রিয়ায় কবি বলেন “এওয়ার্ড পেয়ে পেয়ে আমি অভিভূত। এক কথায় থ। কলকাতার এওয়ার্ড ঢাকায়! তাও আবার নিজ বাড়ীতে এওয়ার্ড পাবো এটা কখনো কল্পনাও করি নি।”

কৃতজ্ঞতা সরূপ কবি তাঁর প্রকাশিত তিনটি কাব্যগ্রন্থ যথাক্রমে “কথা-কাব্য”, “নীরব কথপোকথন” ও “আপন ছায়া”বাংলা এক্সপ্রেসের সম্পাদককে উপহার দেন।

কবির শিক্ষা জীবনের হাতেখড়ি ঝালকাঠির উদ্ধোধন হাই স্কুলে। ছেলে বেলায় অসুস্থতার কারনে ১৯৭৫ সালে সরাসরি ৪র্থ শ্রেণিতে ভর্তি হন । ১৯৮০ সালের জুনে উদ্ধোধন হাই স্কুলে ৯ম শ্রেণিতে থাকাকালে বাবার বদলীজনিত কারনে নিজ গ্রাম গোপালপুরে চলে যান। ১৯৮৩ সালে নবীনগর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস.এস.সি, ১৯৮৫ সালে নবীনগর সরকারী কলেজ থেকে এইচ.এস.সি পাশ করেন। ১৯৯১ সালে বাংলদেশ বিমান বাহিনীর এয়ারম্যান ট্রেনিং ইন্সটিটিউট (এটিআই) থেকে এ্যারোনটিক্যাল ইন্জিনিয়ারিং (এয়ারফ্রেম) থেকে প্রথম শ্রেণিতে এসোসিয়েট ইন্জিনিয়ারিং পাশ করেন। ১৯৯৬ সাল থেকে ১০ বছর ঐ ইন্সটিটিউটের প্রশিক্ষক ছিলেন। ১৯৮৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (বহিরাগত ) থেকে ইংরেজী সাহিত্য স্নাতক, ২০০৭ সালে এজাম্পশন বিশ্ববিদ্যালয়, থাইল্যান্ড থেকে ডিপ্লোমা ইন ইনফরমেশন টেকনোলজিতে স্নাতক লাভ করেন। এ ছাড়া তিনি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও আইনশাস্ত্রে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন।

তিনি ১৯৯১ সালের ৫ জুলাই ষাটের দশকের সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ব্রাহ্মণবাডিয়ার বাঞ্ছারামপুরের দড়িকান্দি গ্রামের আশেক জহির সাহেবের দ্বিতীয়া কন্যা নাজমা আশেকীন জহিরের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।  তিনি ও তার সহধর্মীনি শিক্ষাবিদ রত্নগর্ভা নাজমা আশেকীন শাওন এম. এ. এম-এড তিন কন্যা সন্তানের জনক-জননী। জ্যেষ্ঠ কন্যা নাজমুন সালেহীন তৃষা বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা শেষ করেছে। মেঝো কন্যা কামরুন সালেহীন তৃনা ষ্টাডি ইন ইন্ডিয়া (এসআইআই) প্রজেক্টের আওতায় ভারত সরকারের পূর্ণ স্কলারশিপে ভুবনেশ্বরের বিখ্যাত কলিঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে (কিট) এরোস্পেস ইন্জিনিয়ারিং এ পড়াশোনা করছে।  কনিষ্ঠ কন্যা রুশ সরকারের পূর্ণ স্কলারশিপে মস্কোর বিখ্যাত” রাশিয়ান ন্যাশনাল রিসার্চ মেডিকেল ইউনিভার্সিটি”তে (Sechenov University, Moscow.) ডক্টর অফ মেডিসিন পড়ার জন্য ভর্তি হয়েছে। আগস্টের শেষে তার মস্কো চলে যাবার কথা রয়েছে।
লিখালিখির ভবিষ্যৎ নিয়ে কবি  তাঁর “সাগর সেচার সাধ” কবিতা থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন,
স্বপ্ন দেখি ঘুমে ও জেগে
সপ্তাকাশ আরোহণের।
শতকোটি বাধাঁর সিড়ি বেয়ে বেয়ে
স্বাদ নিতে বিজয়ের।