একটি জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) দিয়ে সর্বোচ্চ ২০টি সিম বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আগে একটি এনআইডি দিয়ে পাঁচটি সিম নিবন্ধনের সুযোগ ছিল।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের উপস্থিতিতে বৈঠকে টেলিযোগাযোগ খাতের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিষয়ে আলোচনায় আসে। যার মধ্যে এটিও ছিল।
জানা গেছ, সরকারের এ সিদ্ধান্ত অচিরেই বাস্তবায়িত হচ্ছে। এর ফলে একজন গ্রাহক তার এনআইডির বিপরীতে এক বা একাধিক অপারেটরের সব মিলিয়ে ২০টি সিম রাখতে পারবেন।
তবে ২০১৬ সালে জেলা প্রশাসক সম্মেলনে একটি জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) দিয়ে সর্বোচ্চ ২০টি সিম বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধনের সুযোগের পরিবর্তে পাঁচটিতে কমিয়ে আনার ঘোষণা দেয়া হয়। সিদ্ধান্তটি বাস্তবায়নে গত সেপ্টেম্বরে মোবাইল অপারেটরগুলোকে নির্দেশনা দেয়া হলেও তাতে তেমন সাড়া মেলেনি বলে বিটিআরসির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান।
২০টির বেশি সিম রাখা বা বায়োমেট্রিক নিবন্ধন করা সিম হস্তান্তরের বিষয়ে গ্রাহকদের সতর্ক করে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেন, গ্রাহকদের মনে রাখতে হবে, বিটিআরসি সুনির্দিষ্টভাবে বলে দিতে পারছে, কোন অপারেটরের কতটি সিম গ্রাহকের আছে। তাই কেউ যদি নিজের সিম অন্যর কাছে বিক্রি করে তাহলে ধরা পড়বে।