আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হলো ঐতিহ্যবাহী চরমোনাই মাদ্রাসার অগ্রহায়ণ মাসের বার্ষিক মাহফিল। বৃহস্পতিবার সকালে চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম মোনাজাত পরিচালনা করেন।
মোনাজাতে দেশ, মানবতা, ইসলাম ও দেশের মানুষের শান্তি ও কল্যাণের জন্য দোয়া করা হয়। এছাড়াও বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা এবং ইসলামবিরোধী, মানবতাবিরোধী অপশক্তির হেদায়াত কিংবা ধ্বংসের জন্য দোয়া করা হয়।
২৬ নভেম্বর বাদ জোহর চরমোনাইয়ের পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীমের উদ্বোধনী বয়ানের মাধ্যমে শুরু হয় এই মাহফিল। মাহফিলে প্রধান ৭টি অধিবেশনের মধ্যে তিনি ৫টিতে বয়ান পেশ করেন এবং নায়েবে আমীরুল মুজাহিদীন মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম, শায়েখে চরমোনাই ২টি অধিবেশনে বয়ান পেশ করেন।
আখেরি বয়ানে হজরত চরমোনাই পীর বলেন, ‘মানুষ যখন আল্লাহ বিমুখ হয়ে যায় তখন মানুষের মধ্যে মানবতা থাকে না বিধায় তারা যে কোনো অপরাধে জড়িয়ে পরে। সুতরাং আমাদের সবার মধ্যে আল্লাহ ভীতি এবং আল্লাহ ও রাসূলের পূর্ণ আনুগত্য থাকতে হবে। আল্লাহ ও তার রাসূল (স.) মনোনীত দ্বীন ছাড়া অন্য কোনো তন্ত্রমন্ত্র কখনোই গ্রহণ করা যাবে না। যারা আল্লাহ ও তার রাসূলের আদর্শ ছাড়া অন্য আদর্শ গ্রহণ করে কিংবা সে আদর্শের দিকে লোকদিগকে আহ্বান করে, নিশ্চয়ই তারা পথভ্রষ্ট।’
এই বছর চরমোনাই মাহফিলে এসে মোট চারজন ব্যক্তি ইন্তেকাল করেন। তার মধ্যে একজন হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ও অপর তিনজন বার্ধক্যজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেন। এদের সবার জানাজা মাহফিলের মঞ্চেই অনুষ্ঠিত হয়। জানাজার পরে স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়।