জাহাজটিকে বলা হয় বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত জাহাজগুলোর মধ্যে একটি। মেরু অভিযাত্রী আর্নেস্ট শ্যাকলটনের জাহাজ অ্যান্ডুরেন্স। ১৯১৫ সালে ডুবে যাওয়া এই জাহাজটির সন্ধান মিলেছে একশ বছরেরও বেশি সময় পর। বিবিসি বুধবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
১৯১৫ সালে ওয়েডেল সাগরে জাহাজটি যেভানে বরফে আটকা পড়ার পর ডুবে গিয়েছিল, তার মাত্র ছয় কিলোমিটার দূরে সমুদ্রের নিচে জাহাজটির সন্ধান পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে অনুসন্ধান অভিযানের পরিচালক মেনসুন বাউন্ড জানান, আমরা নিজেদের সৌভাগ্য দেখে অভিভূত। কারণ আমরা জাহাজের ধ্বংসাবশেষে সন্ধান পেয়েছি এবং এর ছবি তুলতে পেরেছি।
একটি রোবোটিক আন্ডারওয়াটার ভেহিকেল জাহাজটির সন্ধান পেয়েছে।
১৯১৫ সালে আর্নেস্ট শ্যাকলটনের এন্ডুরেন্স জাহাজটি ডুবেছিল। সেই সময়ে জাহাজের ক্যাপ্টেন ফ্রাঙ্ক ওয়ারসলির রেকর্ড করা যে অবস্থান ছিল তা সময়ের সঙ্গে পরিবর্তিত হয়েছে। কারণ কয়েক মাস পর তিনি আবার সেই জায়গায় ফিরে গিয়েছিলেন, তখন সেই জাহাজটি বরফের নিচে ভেঙে পড়েছিল।
জাহাজটি ওয়েডেল সাগরে বরফের বড় চাঁইয়ের কারণে ভেঙে যায় বলে কথিত আছে।
তবে সমুদ্রের তলদেশে এতো বছর ডুবে থাকা জাহাজের যে অংশটি পাওয়া গেছে সেটি অনেক ভাল অবস্থায় রয়েছে।
এ ব্যাপারে ম্যানসন বাউন্ড জানাচ্ছেন, পানির নিচে এতো বছর থাকার পরও এত সুন্দর সংরক্ষিত কাঠের জাহাজ তিনি আর দেখেননি।
মেরু অভিযাত্রী আর্নেস্ট শ্যাকলটন অ্যান্টার্কটিকায় তার তৃতীয় এবং চতুর্থ যাত্রার জন্য এন্ডুরেন্স জাহাজ ব্যবহার করেছিলেন।
তবে ১৯১৫ সালের অক্টোবরে এন্ডুরেন্স জাহাজে অ্যান্টার্কটিকায় যাওয়ার সময় তিনি বরফের সাগরে আটকে যান। শ্যাকলটন এবং তার দল যতটা সম্ভব জিনিসপত্র নিয়ে জাহাজ থেকে নেমে যান। প্রতিকূল পরিবেশ পাড়ি দিয়ে অনেক কষ্টে আর্নেস্ট শ্যাকলটন ও তার দলবল প্রাণে বাঁচেন।
এন্ডুরেন্স বরফে আটকে থাকার কয়েকমাস পর সমুদ্রের অতলে তলিয়ে যায়।