অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে তিন রাত লঞ্চে অচেতন ছিলেন প্রকৌশলী

লেখক:
প্রকাশ: ২ years ago

অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে অচেতন হয়ে তিন রাত, দুই দিন ঢাকা-বরিশাল রুটের মানামী লঞ্চে পড়ে ছিলেন মো. আল আমিন নামের এক প্রকৌশলী। শনিবার রাতে (৩০ এপ্রিল) তাকে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।

আল আমিন পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার ডাকুয়া এলাকার আব্দুল বারেকের ছেলে। তিনি ময়মনসিংহের আরিফ কোম্পানিতে প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত।

 

রোববার (১ মে) সন্ধ্যায় এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচ এম সাইফুল ইসলাম।

আল আমিনের স্ত্রী কামরুন্নাহার বলেন, ‘বৃহস্পতিবার ময়মনসিংহ থেকে ঢাকায় এসে বরিশালগামী লঞ্চে ওঠে আল আমিন। ওই দিন রাত ১০টায় কথা হয় তার সাথে। এর পর থেকেই যোগাযোগ ছিল না। শনিবার আমি থানায় জিডি করার প্রস্তুতিও নিয়েছিলাম। রাত ৯টার দিকে এক যাত্রী আমাকে ফোন করে আল আমিনের কথা জানালে আমি আমার ভাইদের লঞ্চঘাট যেতে বলি। রাত ১২টার দিকে মানামী লঞ্চ বরিশাল ঘাটে এলে বরিশালের মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহর লোকজন আল আমিনকে অচেতন অবস্থায় লঞ্চ থেকে নামিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করে। তার সাথে থাকা ৫৫ হাজার টাকা, নতুন জামা-কাপড় ও একটি মোবাইল ফোন খোয়া গেছে। একটা লঞ্চের ডেকে একজন যাত্রী তিন রাত, দুই দিন ছিল, আর সেটা লঞ্চের কেউ খেয়াল করল না, এটা হতে পারে না। লঞ্চের লোকজনও অজ্ঞান পার্টির সাথে জড়িত।’

শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন ইউনিটের সহকারী রেজিস্ট্রার শামসুদ্দোহা তৌহিদ বলেন, ‘অচেতন অবস্থায় ওই রোগী ভর্তি হয়েছে। তার জ্ঞান ফেরেনি এখনও। চিকিৎসা চলছে। চিকিৎসায় দেরি হলে তার অনেক বড় সমস‌্যাও হতে পারত।’

 

মানামী লঞ্চের বরিশাল কার্যালয়ের ম‌্যানেজার রেজোয়ান হোসেন লিপন বলেন, ‘আমরা এ ধরনের কোনো বিষয় জানি না।’

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) যুগ্ম পরিচালক ও বরিশাল নদীবন্দরের কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘শনিবার রাতে এক যাত্রীকে অচেতন অবস্থায় মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহর লোকজন মানামী লঞ্চ থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। একটা লঞ্চে একজন যাত্রী তিন রাত ও দুই দিন ছিল, আর সেটা লঞ্চের স্টাফরা খেয়াল করেনি, এটা হতে পারে না। লঞ্চ কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব‌্যবস্থা নেবো।’