রেলের সার্ভারে মিনিটে হিট ১৩ লাখ, সকাল ১০টায় শেষ কয়েক জেলার টিকিট

লেখক:
প্রকাশ: ২ years ago

রেল সেবাকে স্মার্ট করতে এবার ঈদের অগ্রিম টিকিট শুধু অনলাইনে বিক্রি করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এতে সার্ভারের ওপর প্রচণ্ড চাপ পড়ছে।

কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার মাসুদ সারওয়ার বলেছেন, প্রথম দিন শুক্রবার একটু কম চাপ থাকলেও আজ শনিবার (৮ এপ্রিল) চাপ ছিল অনেক বেশি। প্রতি মিনিটে ৮ হাজার হিট সহ্য করার সক্ষমতা থাকলেও সার্ভারে হিট পড়ছে লাখের ওপরে।

 

স্টেশন ম্যানেজার জানান, আজ শনিবার ১৮ এপ্রিলের অগ্রিম টিকিট দেওয়া হয়। কাউন্টার থেকে দেওয়া হচ্ছে না। শতভাগ টিকিট দেওয়া হচ্ছে অনলাইনে। আজ বিক্রি করা হয়েছে ২৫ হাজার ৭৭৮টি টিকেট।

তিনি জানান, সার্ভারে প্রথম মিনিটে ১৩ লাখ বার হিট হয়। বেলা ১০টা নাগাদ রংপুর, লালমনিরহাট, পঞ্চগড় ও কুড়িগ্রামের টিকিট শেষ হয়ে গেছে।

তিনি জানান, পূর্বাঞ্চলের গতকালের কিছু টিকিট এখনো অবিক্রিত আছে।

 

আজ সাড়ে ১০টায় দেখা গেছে, পশ্চিমাঞ্চলের দুই-আড়াই হাজার টিকিট অবিক্রিত অবস্থায় আছে। একসঙ্গে অনেক লোক হিট করায় সার্ভারে চাপ আছে। পূর্বাঞ্চলের অবিক্রিত টিকিট ছিল ৬ হাজার।

সহজ ডটকম জানিয়েছে, তাদের সার্ভারে লোড পড়েছে। ফলে, পেমেন্ট গেটওয়েতে আটকে যাচ্ছে।

প্রসঙ্গত, এবারের ঈদে ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাওয়ার জন্য প্রতিদিন মোট ২৫ হাজার ৭৭৮টি আসনের টিকিট ছাড়া হবে। এর সবগুলোই বিক্রি হবে অনলাইনে।

 

ঈদযাত্রায় আগামী ১৭ এপ্রিলের অগ্রিম টিকিট দেওয়া হয়েছে গতকাল ৭ এপ্রিল। আজ শুক্রবার পাওয়া গেছে ১৮ এপ্রিলের টিকিট। পর্যায়ক্রমে ১৯ এপ্রিলের টিকিট ৯ এপ্রিল, ২০ এপ্রিলের টিকিট ১০ এপ্রিল এবং ২১ এপ্রিলের টিকিট পাওয়া যাবে ১১ এপ্রিল তারিখে।

এবারের ঈদে যাত্রীদের ভোগান্তি দূর করতে শতভাগ টিকিট অনলাইনে বিক্রি হবে জানিয়ে সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, আপনারা দেখেছেন, টিকিট বিক্রি শুরু হলে দুই-তিন দিন, রাতের পর রাত স্টেশনে অপেক্ষা করেন সাধারণ যাত্রীরা। অনেকে সারা রাত সারা দিন অপেক্ষা করে কাউন্টারে এসে দেখেছেন টিকিট নাই। এই ভোগান্তি আমরা আর দেখতে চাই না।

 

মন্ত্রী জানান, ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের সুবিধার্থে শোভন শ্রেণির (নন-এসি) মোট আসনের ২৫ শতাংশ আসনবিহীন টিকিট (স্ট্যান্ডিং) যাত্রার দিন কাউন্টার থেকে বিক্রি করা হবে।

ঈদে বিশেষ ট্রেন:
আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ১০ জোড়া বিশেষ ট্রেন পরিচালনা করবে রেলওয়ে।

 

ট্রেনগুলো হলো—
চট্টগ্রাম-চাঁদপুর-চট্টগ্রাম রুটে চাঁদপুর ঈদ স্পেশাল-১ ও ৩, চাঁদপুর-চট্টগ্রাম-চাঁদপুর রুটে চাঁদপুর ঈদ স্পেশাল-২ ও ৪, ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ-ঢাকা রুটে দেওয়ানগঞ্জ ঈদ স্পেশাল-৬, চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহ-চট্টগ্রাম রুটে ময়মনসিংহ ঈদ স্পেশাল, সিলেট-চাঁদপুর-সিলেট রুটে ঈদ স্পেশাল-১০, ঢাকা-চিলাহাটি-ঢাকা রুটে ঈদ স্পেশাল ১৪ ও ১৫, পঞ্চগড় রুটে ঈদ স্পেশাল-১ ও ২।

উত্তরবঙ্গের পোশাক শ্রমিকদের জন্যে গাজীপুরের জয়দেবপুর স্টেশন থেকে পঞ্চগড়ে যাবে বিশেষ আরেকটি ট্রেন।

অন্যদিকে, শুধু শোলাকিয়ায় ঈদের জামায়াতের যাত্রীদের জন্যে ভৈরববাজার-কিশোরগঞ্জ-ভৈরববাজার রুটে শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল-১১ ও শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল-১২ এবং ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ রুটে শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল-১৩ ও ১৪ চলবে।