বরিশালে বানারীপাড়ায় নিহত আ.লীগ কর্মীর তিন সন্তানের দায়িত্ব নিলেন শাহে আলম

লেখক:
প্রকাশ: ৬ years ago

বানারীপাড়ার বিশারকান্দি ইউনিয়নের মরিচবুনিয়া গ্রামের খ্রিস্টান পল্লীতে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আশিষ বাড়ৈ(৪৫) নামের এক আওয়ামী লীগ কর্মী নিহত ও ১১ জন গুরুতর আহত হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার মরিচবুনিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে উপজেলার বিশারকান্দি ইউনিয়নের মরিচবুনিয়া গ্রামের খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের শোভা রঞ্জন চৌধুরী ও অমল বাড়ৈ’র মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে দুই একর সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। সম্প্রতি অমল বাড়ৈ বরিশাল জজ আদালত থেকে শোভা রঞ্জন চৌধুরীর দখলে থাকা ওই সম্পত্তির মালিকানার রায় পান। শুক্রবার সন্ধ্যায় জমি সংক্রান্ত এ বিরোধের জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ চলাকালীণ সময়ে স্থানীয় চৌমোহনা বাজারে অবস্থানরত শোভা রঞ্জন চৌধুরীর ছেলে রতন চৌধুরী ও তাদের পক্ষের প্রভুদান,বিভুদান,কালু ও মিলন খবর পেয়ে ধারালো অস্ত্র নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

এতে অমল বাড়ৈ(৬৫),তার স্ত্রী আশালতা বাড়ৈ(৬০) ছেলে আওয়ামী লীগ কর্মী আশিষ বাড়ৈ(৪৫),পুত্রবধু স্নিগ্ধা(৪০),মেয়ে গোলাপী বাড়ৈ(২৫),জয় সরকার (১৪),তাদের বাড়িতে বরিশাল থেকে বেড়াতে আসা ফয়সাল মাহমুদ(২০),অপর পক্ষের মিলন চৌধুরী(২৭),শিমন সরকার(৩৫),শোভা রঞ্জন চৌধুরীর স্ত্রী হান্না চৌধুরী(৫০) গুরুতর আহত হন। স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে রাত ১০টার দিকে বানারীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে আশিষ বাড়ৈকে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন এবং আশংকাজনক অবস্থায় শিমন সরকার,মিলন চৌধুরী,অমল বাড়ৈ,গোলাপী বাড়ৈ, স্নিগ্ধা বাড়ৈ ও আশালতা বাড়ৈকে বরিশাল শেবাচিম হাসাপাতালে রেফার করেন। বাকীদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রাখা হয়।

বানারীপাড়া মডেল থানার ওসি(তদন্ত) জহিরুল ইসলাম জানান, ওই দিন রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে বিশারকান্দি ইউনিয়নের মরিচবুনিয়া গ্রাম থেকে শোভা রঞ্জন চৌধুরী,রতন চৌধুরী ও স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জেমসকে আটক করা হয়। এছাড়া বানারীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধিন কয়েকজনকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে।এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও তিনি জানান।

এদিকে শনিবার দুপুরে স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. শাহে আলম ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই পক্ষের লোকজন,প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় নিরপেক্ষ লোকজনের কাছ থেকে বিষয়টি জেনে এ ব্যপারে তদন্ত পূর্বক প্রকৃত দোষীদের চিহিৃত করে আইনের আওতায় আনার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেন। এসময় তিনি নিহত আশিষ বাড়ৈর অবুঝ তিন সন্তানের লেখাপড়ার দায়িত্ব নেওয়ার ঘোষণা দেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি কৃষিবিদ ডা. খোরশেদ আলম সেলিম,উপজেলা ওয়াকার্স পার্টির সম্পাদক অধ্যাপক মন্টু লাল কুন্ডু,বিশারকান্দি শের-ই বাংলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ নিজাম উদ্দিন, ওসি(তদন্ত) জহিরুল ইসলাম,বিশারকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম শান্ত,সাবেক চেয়ারম্যান এ্যাডওয়ার্ড বিশ্বাস নান্নু ও ওমর ফারুক,বানারীপাড়া প্রেসক্লাব সভাপতি রাহাদ সুমন,সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্লা,সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক শাহিন প্রমুখ ।

প্রচ্ছদবিনোদন এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
কমলাপুর রেলস্টেশনের ঘাস নিয়ে লাইভ করার পর এবার ট্রেনে ওঠার সময় নারী ও বৃদ্ধাদের ঝুঁকি নিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ফের ফেসবুক লাইভ করলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন। বৃদ্ধ মা-বাবা, স্ত্রী ও বাচ্চাদের নিয়ে যারা রেলে চলাফেরা করেন তাদের প্রতি কি একটু সহায় হবেন- এমন আহ্বান জানান তিনি। তিনি প্রশ্ন তোলেন, কেউ যদি বউ-বাচ্চা, বৃদ্ধা মা-বাবাকে নিয়ে ট্রেনে উঠতে চান তা হলে বউ থাকবে কই আর মা-বাবা থাকবে কই। শুক্রবার (৫ জুলাই) রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ফেসবুকে লাইভে এসে এসব কথা বলেন ব্যারিস্টার সুমন। লাইভে এসে প্ল্যাটফর্ম থেকে ট্রেনে ওঠার সিঁড়ির দূরত্ব দেখিয়ে সুমন বলেন, ‘এই ট্রেনটাকে মিটার গেজ (পরে সংশোধন করে বলেন ব্রডগেজ) বলা হয়। আমার প্রশ্ন হলো-প্ল্যাটফ্রম থেকে দূরত্ব বা উচ্চতা কত? ব্রিটিশ আমলের ট্রেনগুলো ছিল এমন। আপনারা (রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ) নতুন ট্রেন আনলেন কিন্তু প্ল্যাটফর্ম এখনো পুরনো।’ রেলওয়ে স্টেশনে উপস্থিত লোকদের দেখিয়ে তিনি বলেন, ‘দেখেন সবাই, প্ল্যাটফর্ম থেকে ট্রেনের উচ্চতা দোতলার সমান। কোনো স্টেশনে ট্রেনটি তিন মিনিট থামে। তিন মিনিটে ৫০ জন মানুষ প্রায় দুই তলার সমান উচ্চতায় ওঠা কি সম্ভব?’ রেলমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘রেলমন্ত্রী, ট্রেন আপনি অনেক উঁচু বানিয়ে দিছেন। আর প্ল্যাটফর্ম এখানে বিট্রিশ আমলের। আমি কমলাপুর সেন্ট্রাল স্টেশন থেকে বলছি। আর গ্রামের স্টেশনগুলোর অবস্থা তো আরও খারাপ। সেখানে ট্রেনে উঠতে তো রীতিমতো যুদ্ধ করতে হয়। বউ বাচ্চা নিয়ে ওঠা একটা বে-ইজ্জতের কারবার।’ তিনি আরও বলেন, ‘দুনিয়া এগোচ্ছে, সব কিছু এগোচ্ছে। রাতারাতি পরিবর্তন করতে পারবেন না। তবে ব্রেইনে আনেন পরিবর্তন করার। আপনারা বউ-বাচ্চা লইয়া ট্রেনে যাতায়াত করবেন কি-না জানি না। তবে, এই প্ল্যাটফর্ম ট্রেনের সমান করতে কোটি কোটি টাকার দরকার পড়বে না। আশা করি রেলমন্ত্রীসহ সকলেই এর প্রতি সদয় হবেন।’ এর আগে (৩০ মে) ব্যারিস্টার সুমন স্টেশনের সামনে রেললাইনের ওপর বেড়ে ওঠা ঘাস কেটে পরিচ্ছন্ন করার অনুরোধ জানিয়ে তার নিজের ফেসবুক পেজে লাইভ দেন। এর পরদিনই (শুক্রবার) সেসব ঘাস কেটে পরিষ্কার করে ফেলে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। পরিবারকে গ্রামের বাড়িতে পাঠানোর জন্য ট্রেনে তুলে দিতে কমলাপুর রেলস্টেশনে গিয়ে ফেসবুক লাইভে আসেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। সেখানে তিনি দেখেন, রেললাইনের ওপর বড় বড় ঘাস জন্মেছে। যা কাটার জন্য কারো সময় নেই। ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘রেলের সময় নিয়ে আমার কোনো অভিযোগ নেই। মোটামুটি ভালোই চলতেছে। এজন্য রেল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই।’ ওই লাইভে তিনি আরও বলেন, এটা দেশের সবচেয়ে বড় রেলস্টেশন। এটা কেন্দ্রীয় রেল স্টেশন। এ সময় তিনি এক হাত লম্বা লম্বা ঘাস দেখিয়ে বলেন, ‘কিছু লোক লাগিয়ে ঘাসগুলো পরিষ্কার করলে স্টেশনটা অনেক সুন্দর হয়ে যেত।’
৬ years ago