 
                                            
                                                                                            
                                        
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১০টি বিশেষ উদ্যোগ নিয়ে গণমাধ্যম কর্মী ও সচেতন নাগরিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মোঃ হাবিবুর রহমান বলেছেন, বরিশালে বিদ্যুৎ লাইন আন্ডার গ্রাউন্ডে হবে। এখানে গ্যাস বিদ্যুতের উন্নতি ঘটছে। রাস্তাঘাট একটু ভাল হলেই বিনিয়োগ বাড়বে। তিনি বরিশাল থেকে প্রকাশিত পত্রিকার মান নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন, এখানে যতগুলো পত্রিকা প্রকাশিত হয় তার সবগুলোতে একই নিউজ থাকে। এমনকি তা দাড়ি-কমা পর্যন্ত মিলে যায়। একই ধরনের ভুল সবপত্রিকায় পাওয়া যায়। মূলত নিউজ নিজেরা তৈরী করার চেয়ে কপি-পেস্ট করেই চলছে। তিনি বলেন, সরকার মুক্ত গণমাধ্যমের চেষ্টা করলেও বরিশালের স্থানীয় পত্রিকাগুলো মানের দিক দিয়ে উন্নতি করতে পারেনি।
গতকাল শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের (পিআইবি) আয়োজিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রেসক্লাবের সভাপতি কাজী নাসির উদ্দিন বাবুল। বিশেষ অতিথি ছিলেন পিআইবির মহাপরিচালক শাহ আলমগীর, বরিশাল প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক এস এম, জাকির হোসেন, সাবেক সভাপতি মানবেন্দ্র বটব্যাল, নুরুল আলম ফরিদ।
সভায় বক্তারা বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশটিকে ভাল করতে একটি ভিশন নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। ১০০ বছর পরে দেশটি কেমন হবে এটা নিয়ে এখনই পরিকল্পনা করছেন। চিন্তা করছেন ২০২১ সালে দেশটিকে মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সালে উন্নত দেশে পরিণত করার। যা একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ।
বক্তারা বলেন, গঙ্গা অববাহিকার মাটি পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে উর্বর। বাংলাদেশ গঙ্গা অববাহিকার মাটিতে অবস্থিত। এদেশের মানুষের নৈতিকবোধ প্রখর। এদেশের মানুষ অসাম্প্রদায়িক। এদেশের মানুষ ন্যায়ের প্রতিবাদে বুকের তাজা রক্ত দিতে জানে। এ উপমহাদেশে গৌতম বুদ্ধের মত মানুষের জন্ম হয়েছিল। অতীশ দীপংকরের মত গুণিজনদের আবাস ভূমি এই বাংলাদেশ। এ দেশটির নৈতিকতা, দেশপ্রেমকে ধ্বংস করতে বৃটিশ শাসকরা এদেশের মানুষকে গোলাম বানাতে চেষ্টা করেছিল।
বিশেষ কিছু ব্যক্তিকে, যারা বৃটিশদের দালালী করেছে তাদের নানা উপাধী দিয়েছে। বৃটিশরা এসব করেছে শুধুমাত্র ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য আর এই উপমহাদেশের হীরা, স্বর্ণ, কোহিনুর চুরির করার জন্য। বৃটিশরা এদেশের মানুষের নৈতিকতা নষ্টের জন্য বইয়ের পাতায় দুধে পানি মিশানোর অংক, টোনাটুনির গল্পের মাধ্যমে প্রতারনা করা শিখিয়েছে। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধিয়েছে। এমনকি ধর্ম দিয়ে ভাগ করেছে ভারত পাকিস্তান।
এর মূল কারণ ছিল আমাদের প্রবল শক্তিকে দুর্বল করার জন্য। ওই ষড়যন্ত্রকারীরা আজ এই শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশটিকে অশান্ত করার চেষ্টায় রয়েছে। সাংবাদিকদের এদিকে নজর রাখার আহবান জানান। বক্তারা পাশাপাশি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন ভাবনাগুলো পত্রিকার পাতায় তুলে ধরার জন্য অনুরোধ জানান।
সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এস এম ইকবাল, শারমিন আক্তার, মুরাদ আহমেদ, আবুল কালাম আজাদ, শাহিনা আজমিন, স্বপন খন্দকার, তপন চক্রবর্তী, মতবিনিময় সভায় সঞ্চালনের দায়িত্বে ছিলেন পিআইবির প্রশিক্ষক রাফিজা রহমান।