 বরিশাল
                                            
                                                বরিশাল                                            
                                        
১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে বরিশালে মুক্তিযুদ্ধের তথ্য, চিত্র ও দলিলপত্রের প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। বরিশাল জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ও বরিশাল রিপোটার্স ইউনিটির আয়োজনে ১১ তম এ প্রদর্শনী বরিশাল নগরের বঙ্গবন্ধু উদ্যান সংলগ্ন বিভাগীয় আনসার ও ভিডিপি কার্যালয়ের হলরুমে দিনব্যাপি অনুষ্ঠিত হয়।
বিভাগীয় আনসার ও ভিডিপি কার্যালয়ের সহযোগীতায় সকাল পৌনে ৯ টায় প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার মোঃ শহিদুজ্জামান (অতিরিক্ত সচিব) ও জেলা প্রশাসক মোঃ হাবিবুর রহমান। এসময় উপস্থিত ছিলেন আনছার ও ভিডিপি বরিশাল রেঞ্জের পরিচালক মোল্লা আমজাদ হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আবুল কালাম আজাদ, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মোখলেছুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা এমজি কবির ভুলু, বরিশাল রিপোটার্স ইউনিটির সভাপতি নজরুল বিশ্বাস, সাবেক সভাপতি আনিসুর রহমান খান স্বপন, সুশান্ত ঘোষ, আলী জসিম, বিজয় দিবস উদযাপন পর্ষদ আহবায়ক কামরুল আহসান, সদস্য সচিব ও বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক বাপ্পী মজুমদার, বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটির যুগ্ম সম্পাদক মাসুক কামালসহ প্রমুখ। এর পূর্বে বরিশাল রিপোটার্স ইউনিটির সদস্যরা সকাল ৭ টায় শহীদ মুক্তিযোদ্দা স্মৃতিফলকে পুস্পর্ঘ্য অর্পনের করেন।
প্রদর্শনীতে মুক্তিযুদ্ধের বই-পত্র ছাড়াও মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্যবহৃত নানা উপকরণ, চিঠি, ডায়েরী, নির্দেশনা সহ বহু দুর্লভ জিনিস প্রদর্শিত হবে। প্রায় ৪’শত মুক্তিযুদ্ধের বই, ৩’শ ছবি, মুক্তিযুদ্ধে ব্যবহৃত গানবোটের কামানের গোলা, রেডিও, শত্রুপক্ষের নৌযান ডুবিয়ে ফেলার কাজে ব্যবহৃত মাইনের খন্ডাংশ, মুক্তিযুদ্ধে বরিশাল সরকারী বালিকা বিদ্যালয়ে স্থাপিত দক্ষিনাঞ্চলীয় সচিবালয়ে মুক্তিযুদ্ধ সংক্রান্ত বিভিন্ন নির্দেশনা, মুদ্রণে ব্যবহৃত সাইক্লোস্টাইল মেশিন, বেশ কয়েকটি বন্দুক, মুক্তিযুদ্ধের পর বরিশালে প্রথম ভাস্কর্য বিজয় বিহঙ্গের ডিজাইন, ১৯৭১ সালে নৌ কমান্ডদের ব্যবহৃত কস্টিউম এবং বাংলাদেশের প্রথম সংবিধান (যা সম্পূর্ণ হাতে লেখা) নিয়ে প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।
এছাড়া মুক্তিযুদ্ধকালীন বিভিন্ন পত্রিকা এবং শান্তি কমিটির একটি চিঠিও রয়েছে প্রদর্শনীতে। পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধকালীন নানান চিত্র ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রদর্শিত করাও হয়। প্রদর্শনী চলাকালে স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারকে প্রথম গার্ড অব অনার প্রদানের নেতৃত্বদানকারী মুক্তিযোদ্ধা মাহাবুব উদ্দিন বীর-বিক্রম, র্যাব-৮ এর উপ-অধিনায়ক মোঃ রাকিবুজ্জামানসহ নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা ও বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ প্রর্দশনী পরিদর্শন করেন।