 
                                            
                                                                                            
                                        
তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনের (আইসিটি) বিতর্কিত ৫৭ ধারাসহ কয়েকটি ধারা বিলুপ্তির বিধান রেখে ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক বলছেন, ‘আইনটি সংশোধন কিংবা বিলুপ্তির বিধান করে নতুন আইন পাস হলেও আগে ৫৭ ধারায় দায়ের হওয়া মামলার তদন্ত চলবে।
সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে পুলিশ সদর দফতরে পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর কর্তৃক প্রকাশিত ‘মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের ভূমিকা’ এবং ‘মুক্তিযুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধ’ শীর্ষক দুটি গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।
নতুন আইন হওয়ায় আগের ৫৭ ধারায় দায়ের হওয়া মামলাগুলো বাতিল হয়ে যাবে কি-না জানতে চাইলে আইজিপি বলেন, ‘আগের আইনে দায়ের হওয়া মামলা বাতিল হবার নিয়ম নেই। মামলা হয়েছে। তদন্তও চলছে। তদন্ত চলবে আগের আইনেই (৫৭ ধারায়)।
‘আগেই জানানো হয়েছিল, ৫৭ ধারায় মামলা করতে হলে পুলিশ সদর দফতরের অনুমতি লাগবে। কিছু মামলা অনুমতি ছাড়াই হয়েছে। তবে সেসব মামলার প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব ছিল। সেসব পুলিশ খতিয়ে দেখছে,’-বলেন তিনি।
নতুন আইন সম্পর্কে জানতে চাইলে আইজিপি বলেন, ‘আইনের খসড়া না দেখে মন্তব্য করা ঠিক হবে না। তবে খুব বেশি পার্থক্য হবে বলে মনে হয় না। সাজার ক্ষেত্রে হয়ত কমতে পারে।
এর আগে দুটি গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচনের মূল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক বলেন, ১৯৭১ সালেল ২৫ মার্চ যখন হামলা চালানো হয় তখন তা পুলিশ অনুমান করতে পেরেছিল। যে কারণে আগেভাগেই রাজারবাগেই হামলা হয় ও রাজারবাগ থেকেই প্রতিরোধ গড়ে ওঠে। পুলিশ কাপুরুষের মতো পালিয়ে যায়নি, যা ছিল তা নিয়েই প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল। মূলত বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে অনুপ্রাণিত হয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিল পুলিশ।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস ও পুলিশের ভূমিকা সম্পর্কে নতুন প্রজন্মকে জানাতে পুলিশের বিশেষ উদ্যোগ হচ্ছে ‘পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর’। এ জাদুঘরে ১৯৭১ সালের ৫৭৬টি দুর্লভ ছবি সংরক্ষিত রয়েছে।