৩য় দিনের মতো যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি কার্যক্রম অচল

লেখক:
প্রকাশ: ৭ years ago

যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি সেবাখাতগুলোর বেশির ভাগই রয়েছে বন্ধ। এর ফলে মারাত্মক দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ। টানা তৃতীয় দিনের মতো এই অচলাবস্থা বিরাজ করছে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকারে। অন্যদিকে অচলাবস্থা নিরসনে রাজনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। তবে রবিবার শেষ রাত পর্যন্ত এ চেষ্টায় কোনো ফল আসে নি। ফলে আজ সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় দুপুর ১২টায় নতুন করে ভোট হবে সিনেটে। তাতে সরকারি কর্মকাণ্ডকে সচল করা হবে কিনা সে বিষয়ে ভোট দেবেন সিনেটররা। তবে এখন পর্যন্ত সে ভোটের ফল কি হবে তা স্পষ্ট নয়।

যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট পদে দ্বিতীয় বছরে পা দিতে না দিতেই সরকারি কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো মারাত্মক ঝক্কির মুখে পড়ে গেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ডেমোক্র্যাটদের বিরোধিতার মুখে স্বল্পকালীন বরাদ্দ আটকে যাওয়ায় গতকাল শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের অনেক সরকারি কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করতে বাধ্য হয় প্রশাসন। ট্রাম্পের অভিবাসন কর্মসূচি বাতিল করা যায় কিনা তা নিয়ে একটি প্রস্তাব নিয়ে কাজ করছেন সিনেটে রিপাবলিকান নেতা মিচ ম্যাককনেল। তিনি আশা করছেন এর মধ্য দিয়ে ডেমোক্রেটদেরকে সমঝোতার টেবিলে আনা যেতে পারে।

সংবাদমাধ্যম সিএনএন ও বিবিসিতে বলা হয়, কেন্দ্রীয় সরকারের সম্প্রসারিত একটি নতুন বাজেট পাস করতে ব্যর্থ হয় সিনেট গত শুক্রবার। এর ফলে শুক্রবার মধ্যরাত থেকে এতে বেতনবিহীনভাবে ছুটিতে যেতে বাধ্য হচ্ছে এক-চতুর্থাংশ সরকারি কর্মী। যার প্রভাবে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাণিজ্য, রাজস্ব, সামাজিক নিরাপত্তা, আবাসন, শ্রম ও পরিবেশ বিষয়ক দপ্তরগুলোর কাজের গতি মারাত্মক হ্রাস পাবে। দুর্যোগকবলিত মানুষের জন্য ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হবে। এসবের জন্য ডেমোক্র্যাটদের দুষেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। পরিস্থিতির চাপে তিনি দ্বিতীয় বর্ষে পদার্পণের উৎসব আয়োজনও বাতিল করেছেন।

স্থানীয় সময় রবিবার দিবাগত রাত একটায় এ বিষয়ে একটি বিল সিনেটে উত্থাপন করার কথা ছিল। কিন্তু যখন স্পষ্ট হয়ে যায় তাতে বাধা সৃষ্টি করবেন ডেমোক্রেটরা তখন ওই ভোট সোমবার দুপুরে করার কথা বলা হয়েছে। এর অর্থ হলো সোমবারও যুক্তরাষ্ট্রে কেন্দ্রীয় সরকারের বহু অফিস বন্ধ থাকছে। সপ্তাহান্তের পুরোটা সময় এ নিয়ে সিনেট বিরল অধিবেশন করেছে। কিন্তু তারা সপ্তাহ শুরুতে কোনো ঐকমত্যে আসতে ব্যর্থ হয়েছে। তারা এ ব্যর্থতার জন্য একে অন্যকে দায়ী করছে। ফলে সমঝোতায় পৌঁছার সম্ভাবনা খুবই কম।