বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টায় ১৭০ জন ডেঙ্গুরোগী ভর্তি হয়েছেন। এ সময়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন একজন ডেঙ্গুরোগীর মৃত্যু হয়েছে।
এ নিয়ে চলতি বছরে গোটা বরিশাল বিভাগে দুজন ডেঙ্গুরোগীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিভাগের স্বাস্থ্য পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল।
শেবাচিম হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল সদরের চানপুরা এলাকার বাসিন্দা আবুল বাশারের স্ত্রী জোসনা (৩৫) ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ১৫ জুলাই শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি হন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৭ জুলাই তার মৃত্যু হয়েছে।
জোসনার স্বজন কলি বেগম জানান, হাসপাতালে ভর্তির তিন দিন আগে থেকে জোসনার জ্বর ছিল। বিছানা থেকে উঠতে না পারায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তিনি বলেন, জ্বর হওয়ার আগে জোসনা কোথাও যাননি, বরিশালের নিজ বাড়িতেই ছিলেন।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে ভর্তি ১৭০ ডেঙ্গুরোগী ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ৪৩ জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
এছাড়া বরিশাল জেলার অন্যান্য হাসপাতালে ২৩ জন, পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ জেলায় ৩১ জন, ভোলায় ২৭ জন, পিরোজপুরে ২০ জন, বরগুনায় ২৩ জন ও ঝালকাঠিতে তিনজন ডেঙ্গুরোগী ভর্তি হয়েছেন।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তরের তথ্যানুযায়ী সব মিলিয়ে মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) পর্যন্ত বিভাগের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে ৪২৬ জন ডেঙ্গুরোগী ভর্তি রয়েছেন।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত বরিশাল বিভাগের হাসপাতালগুলোতে দুই হাজার ৮২ জন ডেঙ্গুরোগী ভর্তি হয়েছেন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন এক হাজার ৬৫৪ জন। এদিকে চলতি বছর শেবাচিম হাসপাতালে দুজন ডেঙ্গুরোগীর মৃত্যু হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ দাস বলেন, ডেঙ্গু রোধে সচেতনতাই জরুরি। মানুষ সচেতন না হলে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা কমানো যাবে না।
তিনি বলেন, বিভাগের সব সরকারি হাসপাতালগুলোতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ডেঙ্গুরোগীদের গুরুত্ব দিতে।
শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচ এম সাইফুল ইসলাম বলেন, প্রতিদিন হাসপাতালে ডেঙ্গুরোগী ভর্তি হচ্ছে। জনবলসহ নানা সংকট থাকা সত্ত্বেও চিকিৎসকরা সর্বোচ্চ চিকিৎসা দিচ্ছেন।
হাসপাতালে ডেঙ্গুরোগীদের জন্য আলাদা ওয়ার্ড খোলা হয়েছে জানিয়ে সাইফুল ইসলাম বলেন, শেবাচিম হাসপাতালে ডেঙ্গুরোগীর চিকিৎসা দেওয়ার জন্য ইতোমধ্যে ২০০ শয্যা রয়েছে। আরও ১০০ শয্যা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রয়োজনে তা ব্যবহার করা যাবে।