দেরিতে আসায় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি বাংলাদেশ কংগ্রেস মনোনীত প্রার্থী সালমা আক্তার। মনোনয়নপত্র গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তাকে তিনি অনুরোধও করেন। কিন্তু ১৫ মিনিট দেরিতে আসায় তার মনোনয়ন জমা নেননি রিটার্নিং কর্মকর্তা।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) বিকেল সোয়া ৪টায় পটুয়াখালী জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে প্রবেশ করেন সালমা আক্তার।
তফসিল অনুযায়ী, ৩০ নভেম্বর বিকেল ৪টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ছিল। এছাড়া অনলাইনেও মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সুযোগ ছিল। কিন্তু ১৫ মিনিট পরে জমা দিতে আসায় মনোনয়নপত্র জমা নেননি জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা।
পটুয়াখালীর চারটি আসনেই প্রার্থী ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ কংগ্রেস। তিনটি আসনে মনোনয়নপত্র জমাও দিয়েছেন প্রার্থীরা। পটুয়াখালী-৩ আসনে মনোনয়ন পান সালমা আক্তার।
সালমা আক্তার দশমিনা উপজেলার রনগোপালদী ইউনিয়নের মিয়াজী বাড়ির সাত্তার শিকদারের মেয়ে।
বাংলাদেশ কংগ্রেস মনোনীত প্রার্থী সালমা আক্তার বলেন, ‘গতকাল রাতে আমি নমিনেশন পেয়েছি। কিন্তু রাস্তায় অবরোধ-হরতাল থাকায় সঠিক সময়ে আসতে পারিনি। তবে চারটা বাজার আগেই আমি জেলা প্রশাসক ভবনের নিচে দাঁড়িয়ে ছিলাম। সেখানে ভিড় থাকায় সঠিক সময়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে যেতে পারিনি। আমি জেলা প্রশাসক স্যারকে অনেক অনুরোধ করেছি কিন্তু তিনি নিলেন না।’
তিনি বলেন, আমি একজন নারী। এমনিতেই নারীরা জনপ্রতিনিধি হওয়ার জন্য এগিয়ে আসে না। আমার দিকটি তাদের বিবেচনা করা উচিত ছিল।
এখন আপনি কী করবেন জানতে চাইলে সালমা আক্তার বলেন, ‘আমি আমার দলের সিনিয়রদের বিষয়টি জানাবো। তারপর পরবর্তী সময়ে যে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হয় সেটা করবো।
এ বিষয়ে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক নূর কুতুবুল আলম বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ছিল বিকেল ৪টা। তিনি ৪টা ১৫ মিনিটে এসেছেন। তাই আমি কোনোভাবেই তার মনোনয়নপত্র জমা নিতে পারছি না। কারণ নিয়ম সবার জন্য একই।