নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের একটি অংশ রাজধানীর প্রগতি সরণিতে মানববন্ধন করেছে। বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ১১টা থেকে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা এই মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে তারা জানান, সড়কে শৃঙ্খলা আনতে ট্রাফিক পুলিশকে সহযোগিতা করতে চান।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীদের হাতে ছিল জাতীয় পতাকা। এসময় তারা মুখে কালো কাপড় বেঁধে ও হাতে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড নিয়ে সড়ক দুর্ঘটনার প্রতিবাদ জানান। এছাড়া আবরার আহমেদ চৌধুরীর মৃত্যুর জন্য দায়ী বাসচালকের মৃত্যুদণ্ড ও সড়কে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান।
কর্মসূচি শেষে করে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) শিক্ষার্থী ফামিন চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, নিরাপদ সড়কের আট দফা দাবিতে আমরা একাত্মতা ঘোষণা করেছি। মেয়র সাত দিন সময় চেয়েছেন। এসময়ে মধ্যে আমাদের দাবিগুলো বাস্তবায়ন না হলে শুক্র ও শনিবারের পর রবিবার থেকে আমরা আবারও মানববন্ধন করব। সড়কে শৃঙ্খলা আনতে আমরা ট্রাফিক পুলিশকে সহযোগিতা করব।
মঙ্গলবার সকাল ৭টার পর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার গেইটের সামনে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) শিক্ষার্থী আবরার আহমেদ চৌধুরীকে চাপা দেয় সুপ্রভাত পরিবহনের একটি বাসে। এতে প্রাণ হারান তিনি। এরপর শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। বুধবারও সেই বিক্ষোভ হয়। সেই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায়।
পরে দাবি মেনে নেওয়ার জন্য ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলামকে সাত দিন সময় দিয়ে বুধবার সন্ধ্যায় নিরাপদ সড়ক আন্দোলন স্থগিত করেন শিক্ষার্থীদের একটি অংশ।
বিইউপি শিক্ষার্থী ফয়সাল এনায়েত ব্রিফিংয়ে বলেন, আমরা আজ থেকে ২৮ তারিখ পর্যন্ত সব ধরনের আন্দোলন স্থগিত করছি। সময় সাপেক্ষে মেয়র সাহেব আমাদের সব দাবি মেনে নিয়েছেন। তবে ২৮ মার্চ বেলা ১১টায় আবার মেয়রের কার্যালয়ে বৈঠকে বসব আমরা। সেখানে দাবি পূরণের অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হবে। অগ্রগতি দেখ যদি আমরা সন্তুষ্ট না হই, তাহলে আবার বিক্ষোভ শুরু হবে। সারা দেশের সকল শিক্ষার্থী তাতে অংশ নেবে।