স্বামীকে হত্যার পর সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দিলেন স্ত্রী ও তার প্রেমিক

লেখক:
প্রকাশ: ৫ years ago

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে পরকীয়ার জেরে স্বামী হত্যার অভিযোগে স্ত্রীসহ পরকীয়া প্রেমিককে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার পাথালিয়া এলাকা থেকে স্ত্রী সাথী খাতুন ও প্রেমিক উজ্জলকে আটক করে কালিহাতী থানা পুলিশ।

এ ঘটনায় নিহত তোফাজ্জল হোসেন তোতার ছোট ভাই তারা মিয়া বাদী হয়ে নিহতের স্ত্রী সাথী খাতুন (৩১) ও পাথালিয়া গ্রামের সেকান্দর আলীর ছেলে পরকীয়া প্রেমিক উজ্জল (২৯) এবং একই গ্রামের মৃত নাসিম উদ্দিনের ছেলে আব্দুল জলিলকে (৪৫) আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, নিহতের স্ত্রী সাথী খাতুনের সঙ্গে উজ্জলের পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি তোফাজ্জল হোসেন তোতা জানার পর উভয়কেই নিষেধ করে। তবে গত ১৯ ডিসেম্বর সকালে রাজমিস্ত্রির কাজ করার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে ফেরত আসেনি উল্লেখ করে ২০ ডিসেম্বর কালিহাতী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন স্ত্রী সাথী খাতুন। এ খবর শুনে তোতার স্বজনরা তাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করে।

এক পর্যায়ে জানতে পারে রাত সাড়ে ৮টার দিকে পাথালিয়া বাজারে ঘুরাফেরা করে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয় তোতা। অপরদিকে আসামি জলিলের বাড়ির পাশে তোতার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি পাওয়া যায়। এছাড়া ওইদিন দুপুরেই দেখা যায় ওই গ্রামের মোকছেদ আলী তার বাড়ির পূর্ব পাশে টয়লেটের সেপটিক ট্যাংকের মাটির পাট ভাঙা এবং স্লাপ পরিবর্তন করা হয়েছে।

 

বিষয়টি স্থানীয় মেম্বারকে জানানোসহ কে বা কাহারা এটি ভেঙেছে বলাবলি করতে থাকে। তোতার খোঁজাখুঁজি করতে থাকাবস্থায় উল্লেখিত বিষয়টি এলাকার লোকজনের সন্দেহ হলে কালিহাতী থানা পুলিশকে খবর দেয়। পরে ২১ ডিসেম্বর শনিবার বিকেলে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সেপটিক ট্যাংক থেকে একটি মরদেহ উদ্ধার করে। মরদেহটি দেখে স্থানীয়রা এটি নিখোঁজ তোতার মরদেহ বলে সনাক্ত করেন। এ ঘটনায় শনিবার দিবাগত রাতেই উপজেলার পাথালিয়া এলাকা থেকে স্ত্রী সাথী খাতুন ও প্রেমিক উজ্জলকে আটক করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কালিহাতী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুন জানান, গত বৃহস্পতিবার রাতে তোতা নিখোঁজ হন। বিষয়টি উল্লেখ করে প্রথমে তার স্ত্রী থানায় এসে একটি ডায়েরি করেন। ওই ডায়েরির সূত্র ধরে তোতা মিয়াকে উদ্ধারের চেষ্টা চালাই। একপর্যায়ে জানতে পারি তার স্ত্রীসহ পরকীয়ার প্রেমিক উজ্জল দুজন মিলে তোতাকে হত্যার পর মরদেহ গুম করার জন্য পার্শ্ববর্তী এক পরিত্যক্ত বাড়ির সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে ফেলে রাখেন। এ সংবাদ পেয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত তোফাজ্জল হোসেন তোতার ছোট ভাই তারা মিয়া বাদী হয়ে মামলা দায়ের করলে ঘটনার সঙ্গে জড়িত তোতার স্ত্রীসহ পরকীয়ার প্রেমিক উজ্জলকে গ্রেফতার করি।