 
                                            
                                                                                            
                                        
মিরপুর টেস্টে দীর্ঘ ৪৬ মাস পর বল হাতে পাঁচ উইকেটের দেখা পেয়েছেন সাকিব আল হাসান। মাঝের সময়টায় অবশ্য খুব বেশি ম্যাচ খেলেননি। সাত টেস্ট খেলে সবমিলিয়ে নিয়েছিলেন ২৩টি উইকেট। কিন্তু মেলেনি পাঁচ উইকেটের দেখা। সেই অপেক্ষার অবসান ঘটিয়েছেন এবার।
বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাটিংয়েও সেঞ্চুরির জন্য সাকিবের অপেক্ষা বেশ লম্বা। সবশেষ ২০১৭ সালের মার্চে বাংলাদেশের শততম টেস্টে সেঞ্চুরি করেছিলেন এ বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। এরপর ৬২ মাস ধরে আর তিন অঙ্কের দেখা নেই তার ব্যাটে। এ সময়ে ১২ ম্যাচের ১৯ ইনিংসে পাঁচটি ফিফটি করেছেন সাকিব।
যেহেতু মিরপুর টেস্টে ফাইফারের অপেক্ষার অবসান ঘটলো, এবার কি সেঞ্চুরিখরাও কাটাবেন সাকিব? বৃহস্পতিবার দিনের খেলা শেষে এমন প্রশ্ন রাখা হয়েছিল তার সামনে। সাকিব জানিয়েছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে সেঞ্চুরি নিয়ে ভাবছেন না তিনি। বরং তিন ঘণ্টা ব্যাট করতে পারলেই সেটি দলের জন্য ভালো হবে।
ম্যাচের শেষ দিনে ৬ উইকেট হাতে নিয়ে পরাজয় এড়াতে লড়তে হবে বাংলাদেশকে। দ্বিতীয় ইনিংসে এখনও ১৩৪ রানে পিছিয়ে স্বাগতিকরা। এই রান করার পরই কেবল লঙ্কানদের সামনে লক্ষ্য দিতে পারবে বাংলাদেশ। আর সেটি করার জন্যই মূলতঃ লম্বা সময় ব্যাটিংয়ের দিকে মনোযোগ সাকিবের।
তিনি বলেছেন, ‘এখন দলের যা পরিস্থিতি তাতে সেঞ্চুরি থেকে আমি যদি তিন ঘণ্টা ব্যাট করতে পারি তাহলে সেটি বেশি কাজে দেবে। আশা করি যে দুজন (মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস) উইকেটে আছে ওরা যদি লাঞ্চ পর্যন্ত খেলতে পারে। আমি তারপর তিন ঘণ্টা ব্যাট করতে পারলে দলের জন্য ওটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’
সাকিব আরও যোগ করেন, ‘লাঞ্চের আগে একটার বেশি উইকেট পড়লে আমরা খুব বাজে অবস্থায় পড়ে যাবো। প্রথম সেশনটা গুরুত্বপূর্ণ। যখন দু’জন ব্যাটার এই উইকেটে সেট হয়ে যাবে তখন তাদের আউট করা কঠিন। আপনি যদি দেখেন তাদের দুই মূল বোলার হচ্ছে পেসার। তারা সর্বোচ্চ পাঁচ-ছয় ওভারের স্পেল করতে পারে। লাঞ্চের ভেতর হয়তো দুজন সর্বোচ্চ বিশ ওভার বল করতে পারবে। ওই সময়টা সামলাতে পারলে আমাদের জন্য অনেক সহজ হয়ে যাবে।’
আজ ম্যাচের চতুর্থ দিন ৬৫.১ ওভার ব্যাটিং করে ২২৪ রান যোগ করেছে শ্রীলঙ্কা। প্রথম দুই সেশনে উইকেটই পড়তে দেননি অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ ও দিনেশ চান্দিমাল। দুজনই হাঁকিয়েছেন সেঞ্চুরি। এ দুজনের জুটি গড়ার সময়ই সাকিব বুঝতে পারছিলেন, কঠিন চ্যালেঞ্জের সামনে পড়তে হবে দলকে।
তাই তো তিনি বলেছেন, ‘যখন লাঞ্চে ওদের উইকেট পড়েনি তখনই বোঝা যাচ্ছিলো আমাদের জন্য কঠিন হয়ে যাচ্ছে। কারণ স্বাভাবিকভাবেই ওরা আমাদের রানটা টপকে যাবে। দেড়শ-দুইশ রানের একটা লিড নেওয়ার অবস্থায় তারা ছিল। সেখান থেকে পঞ্চম দিনে ওই দুইশ রান ক্রস করে আবার টার্গেট দিতে চাইলে আমাদের ব্যাটিং করতে হতো তিন থেকে সাড়ে তিন সেশন। আমরা বুঝতে পারছিলাম এরকম একটা পরিস্থিতি হবে। লাঞ্চ পর্যন্ত উইকেট না পড়ায় আমাদের জন্য পরিস্থিতি কঠিন হয়ে গেছে।’