 
                                            
                                                                                            
                                        
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, বান্দরবানের ঘুমধুম সীমান্তে মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টার শেলের আঘাতে দুজনের মৃত্যুর ঘটনায় স্থানীয় থানায় অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশের অকুতোভয় সদস্যরা দেশ ও জনগণের নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালনে কখনো কুণ্ঠাবোধ করেন না।
মঙ্গলবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর রাজারবাগে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
হাসপাতালে গত বছরের ২৮ অক্টোবর বিএনপির কর্মীদের হামলায় আহত পুলিশের নায়েক মো. আব্দুর রাজ্জাকের চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেওয়ার পর আইজিপি বলেন, দেশপ্রেমিক পুলিশ সদস্যরা আগামীতেও পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালনে অঙ্গীকারাবদ্ধ।
ডিএমপির প্রটেকশন বিভাগে কর্মরত আব্দুর রাজ্জাক গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশস্থলের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছিলেন। এ সময় বিএনপির কর্মীরা পাইপ ও লাঠি দিয়ে তার মাথায় আঘাত করে। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ১২ দিন আইসিইউতে চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ভারতের দিল্লিতে অ্যাপোলো হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে তিনি ২০ দিন আইসিইউতে ছিলেন। দুই মাস দুই দিন চিকিৎসা শেষে তার অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে ১১ জানুয়ারি তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা চলছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, বান্দরবানের ঘুমধুম সীমান্তে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী বাংলাদেশ পুলিশ, বিজিবি, প্রশাসন একযোগে কাজ করছে। ঘুমধুমে এক বাংলাদেশি নারীসহ দুজন নিহতের ঘটনায় স্থানীয় থানায় অজ্ঞাতদের নামে মামলা হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।