ঘনিয়ে আসছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নির্বাচন। ঘোষণা অনুযায়ী ২৬ অক্টোবর হওয়ার কথা দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা ফুটবলের নির্বাচন। বর্তমান সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন এরই মধ্যে ঘোষণা দিয়েছেন আগামী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। তিনি এমন এক সময় পঞ্চমবারের মতো নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন, যখন তার পদত্যাগের দাবিতে সোচ্চার কিছু ফুটবল সংগঠক ও সাবেক খেলোয়াড়।
কাজী মো. সালাউদ্দিন নির্বাচন করার ঘোষণা দিলেও তার প্রতিপক্ষ কে হচ্ছেন, তা এখনও পরিষ্কার নয়। কাজী মো. সালাউদ্দিন ছাড়া অন্য কারো পক্ষ থেকে নির্বাচন করার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এখনো আসেনি। ফুটবল অঙ্গনের মানুষের কৌতূহল, কে হচ্ছেন বাফুফের এবারের নির্বাচনে কাজী সালাউদ্দিনের প্রতিদ্বন্দ্বী।
সর্বশেষ নির্বাচনে বাফুফের বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন তারই পরিষদের সহ-সভাপতি বাদল রায় ও সফিকুল ইসলাম মানিক। গত চারবারের নির্বাচনে তিনবারই ভোটের লড়াইয়ে জিতেছেন কাজী সালাউদ্দিন। একবার তার বিরুদ্ধে কোনো প্রার্থী ছিলেন না। এবার তার বিরুদ্ধে কে প্রার্থী হন, তা নিয়েই এখন তুমুল আলোচনা।
গত নির্বাচনের অনেক আগে থেকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েছিলেন সাইফ পাওয়ারটেকের কর্ণধার তরফদার মোহাম্মদ রুহুল আমিন। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি নাটকীয়ভাবে নির্বাচনের ময়দান থেকে সরে যান।
দেশের রাজনৈতিক পটপরিরর্তনের পর নতুন এক পরিবেশে হতে যাচ্ছে এবারের নির্বাচন। তাহলে কি তরফদার রুহুল আমিন এবার কাজী সালাউদ্দিনের বিপক্ষে ভোটের লড়াইয়ে নামবেন?
তরফদার রুহুল আমিন শনিবার জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমি এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলিনি। কিছুদিনের মধ্যেই আমার অবস্থান পরিষ্কার করবো। আপনাদের (গণমাধ্যম) ডেকেই যা বলার বলবো। তবে এটা নিশ্চিত যে, এবার কাজী সালাউদ্দিনকে ফাঁকা মাঠে গোল দিতে দেবো না। কেউ না কেউ সভাপতি পদে তার বিরুদ্ধে নির্বাচন করবেন। আমি বা অন্য কেউ।’
সাম্প্রদিক সময়ে আপনি বিভিন্ন গণমাধ্যমে অভিযোগ করেছেন আপনাকে নির্বাচন করতে দেওয়া হয়নি। জোর করে নাকি নির্বাচনের মাঠ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন তো রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হয়েছে। কাজী সালাউদ্দিন ঘোষণা দিয়েছেন নির্বাচন করবেন। এ বিষয়ে আপনি কী বলবেন?
‘নির্বাচন করা তার গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু আমাকে নির্বাচন করতে দেওয়া হয়নি। আমি চাইবো তিনি যাতে নির্বাচনে কোনো বাধা না পান। তিনি আমার গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করেছেন, আমরা করবো না। ভোটের মাধ্যমেই সবকিছুর ফয়সালা হবে’-বলেন তরফদার রুহুল আমিন।