বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আলোচনার সময় শেষ প্রায়। রাজপথই এখন একমাত্র বিকল্প। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাজপথের আন্দোলনের মাধ্যমেই এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে বিদায় করতে হবে। আমাদের উঠে দাঁড়াতে হবে। এখন জেগে উঠার সময়। তাই আসুন, দলমত নির্বিশেষে অবৈধ ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হই, রাজপথে নেমে আসি। ফ্যাসিস্ট অপশক্তিকে পরাজিত করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করি।ফায়সালা হবে রাজপথে।
মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য ফ্রন্ট আয়োজিত ‘বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের মুক্তির দাবিতে’ আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন,বিএনপি চেয়ারপারসন জেলে যাওয়ার পর তারা বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার করতে চাইছে যে বিএনপি ভেঙে যাচ্ছে। বাংলায় একটি প্রবাদ আছে ‘শকুনের দোয়ায় গরু মরে না’। তাই বলতে চাই- খালেদা জিয়া মিথ্যা মামলায় কারাগারে যাওয়ার পর বিএনপির সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা এখন আরও বেশি ঐক্যবদ্ধ ও সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী।বিএনপি প্রতিটি কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ ও নিয়মতান্ত্রিকভাবে পালন করেছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘জনগণকে সম্পৃক্ত করে যাচ্ছি। আর এতেই সরকার ভয় পাচ্ছে। তারা বিভিন্ন কৌশলে বিএনপির মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতে ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে।
দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘কার কাছে মুক্তি চাইবো। আমরা খালেদা জিয়াকে আইনি প্রক্রিয়ায় মুক্ত করবো। তবে আইনও তো নাই। দেশে নিরপেক্ষ বিচার বিভাগ নাই, আদালত নাই। তাই আমাদের সামনে মুক্তির একমাত্র পথ হচ্ছে রাজপথ। রাজপথের আন্দোলন।এসময় তিনি গতকাল গ্রেফতার হওয়া জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমিরসহ সকল রাজবন্দির মুক্তি দাবি করেন।
তিনি বলেন, ‘এখন প্রতিবাদ করার সময়, আলোচনার সময়ও প্রায় শেষ হয়ে গেছে। কারণ বর্তমান সরকারের নতুন অস্ত্র ‘কৌশল’, তারা মামলা দিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে অকার্যকর করে রাখতে মরিয়া।’
সরকার ভয়ে খালেদা জিয়াকে জামিন দিতে চাইছে না- এমন দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘খালেদা জিয়া কারাগার থেকে বের হলে এই সরকার জনস্রোতে ভেসে যাবে। তাই ভীত হয়ে ছলচাতুরি করে দেশনেত্রীকে আটকে রাখার চেষ্টা করছে সরকার। যার ধারাবাহিকতায় তারা (সরকার) ক্ষমতায় টিকে থাকতে চতুর্দিকে ষড়যন্ত্র করছে।’
আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট গৌতম চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন- বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সুকোমল বড়ূয়া, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ড, সহ-ধর্মবিষয়ক সম্পাদক জন গমেজ, প্রান্তিক জনশক্তিবিষয়ক সম্পাদক অর্পণা রায়, নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুন রায় চৌধুরী ও দেবাশীষ রায় মধু প্রমুখ।