ব্রাজিলের জন্য ২০১০ সালের দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ২০১৪ সালের ব্রাজিল বিশ্বকাপ যেমম দুঃস্বপ্নের। তেমিন দুঃখের ব্রাজিল রক্ষণভাগের অন্যতম ভরসা মিরান্ডার জন্য। দুঙ্গা এবং লু্ইস ফিলিপে স্কলারির বিশ্বকাপ দলে জায়গা হয়নি তার। কিন্তু আলোচনায় ছিলেন বেশ। তিতের অধীনে ব্রাজিলে ডিফেন্ডারের বিশ্বকাপ খেলার সেই আশা এবার নিশ্চয় ঘুচবে।
আগামী ১৪ মে এর মধ্যে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করবে সব দেশ। আর ব্রাজিলের সেই দলের পরিকল্পনায় ভালোভাবেই আছেন ইন্টার মিলানের হয়ে খেলা এই তারকা। অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদের সাবেক এই ফুটবলার ফিফাডটকমকে বলেন, ‘বিশ্বকাপ আসন্ন। আমার মনে হয় এটাই আমার জন্য সবচেয়ে ভালো সময়ে হতে যাচ্ছে। আমার দলের জন্যও।’
মিরান্ডা বলেন, ‘আমার কৌশল এবং অভিজ্ঞতায় অনেক নতুনত্ব যোগ হয়েছে। আমি মনে করি গত দুই বিশ্বকাপ খেলার ভালো সুযোগ ছিল আমার সামনে। তবে আমি এবার আগের থেকে আরো বেশি প্রস্তুত। এবারের প্রস্তুতির মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে।’
ইতালির ক্লাবে খেলা এই ডিফেন্ডার এবার সিরি আ’তে তৃতীয় সেরা রক্ষণের তকমা পেয়েছেন। এছাড়া পায়ের সঙ্গে দারুণ মাথা চলে মিরান্ডার। দলের জন্য তিনি গোলও এনে দিতে পারেন। তার প্রমাণ দিয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে ২০১৩ সালের কোপা ডেল রে’র ফাইনালে গোল করে এবং অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদকে শিরোপা এনে দিয়ে। তবে বিশ্বকাপ নিয়ে এখনো মিরান্ডা তেমন কোন কিছু ভাবছেন না বলে জানান।
ব্রাজিল ডিফেন্ডার বলেন, ‘আমি এখই বিশ্বকাপ নিয়ে বেশি কিছু ভাবতে নারাজ। আমি চাই সেরা প্রস্তুতিটা নিতে এবং ক্লাবের যে খেলাগুলো আছে সেখানে ভালো পারফর্ম করতে। এখন আমার কাজ দলকে সাহায্যে করা।’
২০১০ এবং ২০১৪ বিশ্বকাপ দলে সুযোগ না মিললেও মিরান্ডা ২০১৪ বিশ্বকাপের পর থেকে নিয়মিত ব্রাজিলে দলের জার্সি পরে মাঠে নেমেছেন। এই সময়ে তিনি দলের হয়ে সবথেকে বেশি সময় খেলেছেন। এছাড়া মিরান্ডা ব্রাজিলের হয়ে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ১৭ ম্যাচে ১৪৮৩ মিনিট খেলেছেন। তার চেয়ে বেশি মাঠে ছিলেন কেবল দানি আলভেজ। পিএসজির এই তারকা খেলেছেন ১৫৩০ মিনিট।