কোনো রকম হিসেব-নিকেশের প্রয়োজন নেই। বোদ্ধা, পন্ডিত আর বিশেষজ্ঞদের ব্যাখ্যারও দরকার নেই। খালি চোখেই দেখা যাচ্ছে মোহাম্মদ নবি, নাজিবউল্লাহ জাদরান, আসগর আফগানের আর মুজিবুর রহমান ও রশিদ খানের আফগানিস্তান যতটা সাজানো গোছানো ও শক্তিশালি দল। হ্যামিল্টন মাসাকাদজা-শন উইলিয়ামসদের জিম্বাবুয়ে ততটাই দূর্বল।
কাজেই আফগানদের সাথে শক্তি-সামর্থ্য কুলিয়ে উঠতে না পারলেও, সাকিব বাহিনী ফাইনালের আশা করতেই পারে। কারণ ব্যক্তিগত নৈপুণ্য আর দলগত শক্তিতে টাইগাররা যে জিম্বাবুইয়ানদের চেয়ে উজ্জ্বল, সমৃদ্ধ আর শক্তিশালী! প্রথম ম্যাচে প্রতিষ্ঠিত ও নামী ব্যাটসম্যানদের চরম ব্যর্থতার পরও তরুণ ও ক্যারিয়ারে মাত্র দ্বিতীয় ম্যাচ খেলা আফিফ হোসেন ধ্রুব’র সাহসী হাফ সেঞ্চুরি এবং মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ৩ উইকেটের জয়ই বলে দেয় জিম্বাবুয়ের চেয়ে বাংলাদেশ অবশ্যই এগিয়ে।
তাই ঘরের মাটিতে তিন জাতি টি-টোয়েন্টি আসরে টাইগারদের ফাইনালে না খেলার কোনো কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না কেউ। কারণ, প্রথম পর্বে বাংলাদেশ আর আফগানিস্তান- দুই দলের কাছেই হেরেছে জিম্বাবুয়ে। আফগানদের দুই ম্যাচে শতভাগ সাফল্যের বিপরীতে বাংলাদেশের ২ ম্যাচে এক জয় থাকলেও জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ শূন্য।
কাজেই বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর জিম্বাবুয়েকে হারাতে পারলে ফাইনালে জায়গা করে নেবে সাকিবের দল। তখন তিন ম্যাচে জিম্বাবুয়ের ভান্ডার শূন্যই থাকবে। শেষ ম্যাচে আফগানদের বিপক্ষে জিতলেও আর লাভ হবে না তাদের।
তাই টাইগারদের জন্য আগামীকাল বুধবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ফিরতি লড়াইয়ের ম্যাচটি হচ্ছে ফাইনাল নিশ্চিতের ম্যাচ। এক অর্থে বাংলাদেশের জন্য অঘোষিত সেমিফাইনাল।
তার আগে আজ সন্ধ্যায় ফ্লাড লাইটের আলোয় চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুশীলন করেছেন সাকিব, মুশফিক ও রিয়াদ-মোসাদ্দেকরা। প্র্যাকটিসের আগে আগে কথা বলতে আসা মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের কথা শুনে মনে হলো টাইগাররাও ফাইনাল নিশ্চিতে কথা ভেবে মাঠে নামতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
তাই তো মোসাদ্দেকের মুখে এমন কথা, ‘আসলে আমরা যখন ম্যাচ খেলি, তখন প্রতিটা ম্যাচই জেতার জন্য খেলি। যদি আমরা ফাইনাল খেলি তাহলে সামনে আমাদের আরও তিনটা ম্যাচ আছে। তাই ওভাবে চিন্তা না করে আমরা পরের ম্যাচটা জেতার জন্যই খেলবো। এভাবে চিন্তা করার অপশন নাই আমরা ফাইনাল সেট করার জন্য খেলবো।’