শোয়ার ঘরে কলেজ শিক্ষিকার ঝুলন্ত মরদেহ

লেখক:
প্রকাশ: ৭ years ago

রাজশাহীর বাগমারায় সামসুন নাহার (৪০) নামে এক কলেজ শিক্ষিকার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে তাহেরপুর পৌর এলাকার পাবনাপাড়া মহল্লার নিজ বাসা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় বাড়ির সদর দরজা বাইরে থেকে তালাবদ্ধ ছিল।

সামসুন নাহার তাহেরপুর ডিগ্রি কলেজের ইসলামের ইতিহাসের প্রভাষক ছিলেন। তিনি উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক আহ্বায়ক সাইফুল ইসলামের (৪৫) স্ত্রী। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাইফুল ইসলামকে আটক করেছে বাগমারা থানা পুলিশ।

সাইফুল-সামসুন নাহার দম্পতির স্মৃতি ও শশী নামের দুই মেয়ে রয়েছে। বড় মেয়ে স্মৃতি রাজশাহী কলেজে ইংরেজি বিষয়ে সম্মান দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। ছোট মেয়ে শশী দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

পুলিশ জানায়, সকাল ১০টার দিকে বাইরে থেকে বাড়ি ফেরে এ দম্পতির ছোট মেয়ে শশী। এ সময় শোয়ার ঘরে খাটের ওপর মায়ের মরদেহ ঝুলে থাকতে দেখে সে। তার চিৎকার প্রতিবেশীরা এসে মরদেহ দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে।

বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহমেদ জানান, মরদেহের শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন নেই। তবে সেখানে বমির আলামত মিলেছে। মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি। দুপুরের দিকে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।

নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে ওসি বলেন, বেশ কিছুদিন ধরেই তাদের দাম্পত্য কলহ চলছিল। এনিয়ে মাঝে মধ্যেই স্ত্রীকে মারধর করতেন সাইফুল। বুধবার দিবাগত রাতে নিহতের ভাই আবু বাক্কার মৃধা বিষয়টি মিটমাট করে দেন। ওই রাতেই আবারও তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়।

ওসি নাছিম আহমেদ জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সাইফুল পুলিশের কাছে নাহারের সঙ্গে ঝগড়ার বিষয়টি স্বীকার করে জানিয়েছেন- তিনি ওই দিন রাতে নাহারকে মারপিট করে রাত ৩টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। ওই রাতেই রাজশাহী শহরে চলে যান। পরদিন সকালে পুলিশের ফোন পেয়ে তিনি তাহেরপুরে যান। তবে বাড়ি থেকে চলে যাওয়ার পর কী হয়েছে তা তার জানা নেই।