দিনের শেষ বল। অফে পিচ করা বল লাগে অক্ষর প্যাটেলের ব্যাকপ্যাডে। জোরালো আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। বাংলাদেশ শিবির ভাসে উল্লাসে। দুই সেকেন্ডের ভেতর রিভিউ নেয় ভারত। বল লেগ স্ট্যাম্পের দিকে গেলেও আম্পায়ার্স কল হওয়াতে সিদ্ধান্ত যায় ভারতের বিপক্ষেই।
এভাবে উইকেট নিয়ে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যকার চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিনের ইতি টানে বাংলাদেশ। শুধু তাই নয় তার ৫ ওভার আগে সেঞ্চুরির পথে থাকা চেতেশ্বর পূজারাকে ফেরান তাইজুল ইসলম। দিনের শুরুতে লাগাম বাংলাদেশের হাতে থাকলেও মাঝে পূজারা-শ্রেয়স আইয়ারের জুটি ব্যাকফুটে ঠেলে দিচ্ছিল। শেষ বিকেলে দুই উইকেট নিয়ে আবার লড়াইয়ে ফিরলো সাকিব আল হাসানের দল।
বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) প্রথম দিন শেষে ভারতের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ২৭৮ রান। ৮২ রান নিয়ে ক্রিজে আছেন আইয়ার। অক্ষর শেষ বলে আউট হওয়ায় আর কারো নামতে হয়নি।
সকালে তাইজুলের ঘূর্ণি জাদুতে ৪৮ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ভারতকে চেপে ধরেছিল বাংলাদেশ। প্রথম সেশন কাটিয়ে দিলেও দ্বিতীয় সেশনের শুরুতে ঋষভ পন্থকে বোল্ড করে ভারতকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেন। বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান তুলছিলেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। ৬ চার ও ২ ছয়ে ৪৫ বলে ৪৬ রান করে ফেরেন সাজঘরে।
এরপরেই শুরু হয় পূজারা-আইয়ার জুটির আধিপত্য বিস্তার। দুজনে পঞ্চম উইকেটের জুটি গড়ে দ্বিতীয় সেশন কাটিয়ে দিয়ে যাচ্ছিলেন শেষের দিকেই। মাঝে ১২৫ বলে ক্যারিয়ারের ৩৪তম ফিফটি তুলে নেন পূজারা। তার পর একই পথে হাঁটেন আইয়ারও। তিনি ৯৩ বলে ফিফটি তুলে নিয়ে এখন আছেন সেঞ্চুরি থেকে ১৮ রান দূরে।
পূজারা যাখন সেঞ্চুরি থেকে ১১ রান দূরে তখন আক্রমণ করেন তাইজুল। হালকা টার্ন করা বল পূজারার ব্যাটে লেগে ভেঙে দেয় উইকেট। সমাপ্তি ঘটে ২০৩ বলে ৯০ রানের ইনিংসের। তাতে ভাঙে ৩১৭ বলে ১৪৯ রানের পঞ্চম উইকেট জুটি।
এরপর অক্ষর এসে আইয়ারের সঙ্গে দ্রুত রান তোলায় মনোযোগ দেন। ২ চারে ২৬ বলে তুলে নেন ১৪ রান। কিন্তু দিন শেষের আগেই তাকে শেষ করে দেন মিরাজ। একমাত্র বিরাট কোহলি দুই অঙ্কের ঘর স্পর্শ করতে পারেননি। তার ব্যাট থেকে আসে ৫ বলে ১ রান। অসাধারণ ডেলিভারিতে তাকে ফেরান তাইজুল। এ ছাড়া অধিনায়ক লোকেশ রাহুল ২২, শুভমান গিল ২০ রানে আউট হন।
বল হাতে বাংলাদেশের সেরা পারফর্মার তাইজুল। ৩০ ওভারে ৮৪ রান দিয়ে তিনি ৩ উইকেট নেন। এ ছাড়া মিরাজ ২ ও খালেদ নেন ১টি উইকেট।