ঢাকার কামরাঙ্গীর চর হতে ০৬ বৎসরের শিশু কন্যা অপহরনের ৫ দিন পর পটুয়াখালীর কলাপাড়া হতে র্যাব ৮, পটুয়াখালী ক্যাম্পের বিশেষ অভিযানে সুস্থ্য অবস্থায় ভিকটিম শিশু উদ্ধার ও ০১ নারী অপহারনকারী আটক।
“বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই স্লোগান নিয়ে র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই দেশব্যাপী জঙ্গিবাদ, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, অপহরন, গুম, খুন, মাদক ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে আপোষহীন অবস্থান থেকে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে এবং দেশের সার্বিক উন্নয়ন তথা আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় বিশেষ ভূমিকা পালন করে আসছে যা দেশের সর্বস্তরের জনসাধারন কর্তৃক ইতোমধ্যেই বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৮, সিপিসি-১, পটুয়াখালী ক্যাম্প একটি অভিযোগের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, গত ১৬ তারিখে ঢাকাস্থ কামরাঙ্গীর চর থানা থেকে লামিয়া আক্তার বৃষ্টি (৬) পিতা মোঃ আব্দুল সাত্তার হাওলাদার (৩৮) সাং কয়লা ঘাট, মুসলিম বাগ, ৬ নং গলি, ওয়ার্ড নং ঃ ৫৭, থানাঃ কামরাঙ্গীর চর, জেলা ঢাকা এর বাসার সামনে থেকে আনুমানিক ১০.৩০ ঘটিকায় খেলার সময় নিখোজ হয়।
পরবর্তীতে গত ১৮/০২/২০১৯ তারিখে অনুমানিক বিকাল ৫ ঘটিকার দিকে একটি অপরিচিত মোবাইল নম্বর হতে ভিকটিমের পিতার নাম্বরে ফোন করে ১,০০,০০০ ( এক লক্ষ) টাকা মুক্তিপন দাবী করে । পরবর্তীতে গত ১৯ তারিখে কয়েকবার ফোন দিয়ে মুক্তিপনের টাকা সহ ভিক্টিমের পিতাকে পটুয়াখালী আসতে বলে। উক্ত অভিযোগের ভিত্তিতে র্যাব ৮, পটুয়াখালী ক্যাম্প অপহরনকারীর মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরে জানতে পারে যে, অপহরনকারী পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়ায় অবস্থান করছে।
ভিক্টিম উদ্ধার ও অপহরনকারী গ্রেপ্তারের জন্য কোম্পানী অধিনায়ক মেজর শেখ নাজমুল আরেফিন পরাগ এর নেতৃত্বে একটি চৌকষ অভিযানিক দল ছদ্মবেশে কলাপাড়া এলাকার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকায় অদ্য আনুমানিক বিকাল ৫ ঘটিকায় অভিযান পরিচালনা করে ভিক্টিম লামিয়া আক্তার বৃষ্টি (৬) কে সুস্থ্য অবস্থায় উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। এ সময় অপহরনকারী মোছাঃ ফিরোজা বেগম (৩৬) পিতা মৃত কদম আলী হাওলাদার, সাংঃ বাদুর তলী, ৬ নং ওয়ার্ড, থানাঃ কলাপাড়া, জেলাঃ পটুয়াখালীকে মুক্তিপন দাবীতে ব্যাবহৃত মোবাইল সহ গ্রেপ্তার করা হয় ।
উক্ত অপহরনকারী কে কামরাঙ্গী চর থানার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী) ২০০৩ এর ৭/৩০ ধারার মামলা মূলে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।