প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এসডিজির লক্ষ্য অর্জনে দেশীয় শিল্পের বিকাশে মানসম্মত পণ্য উৎপাদন, রপ্তানি বাণিজ্য সম্প্রসারণের পাশাপাশি ভোক্তাসাধারণের স্বার্থ রক্ষায় মানসম্মত খাদ্য ও পণ্যপ্রাপ্তি নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) ‘বিশ্ব মান দিবস’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (BSTI) উদ্যোগে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ৫২তম ‘বিশ্ব মান দিবস’ পালন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ বছর বিশ্বমান দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে `Shared vision for a better world-Standards for SDGs’ অর্থাৎ ‘সমন্বিত উদ্যোগে টেকসই উন্নত বিশ্ব বিনির্মাণে- মান’। টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনের মাধ্যমে উন্নত বিশ্ব গড়ার জন্য সচেতনতা বৃদ্ধির প্রয়াসে এবারের প্রতিপাদ্যটি সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।
শেখ হাসিনা বলেন, সম্পদের টেকসই উৎপাদন ও ব্যবহার, প্রাকৃতিক সম্পদের টেকসই ব্যবস্থাপনা, জলবায়ুর নেতিবাচক পরিবর্তন রোধে তড়িৎ উদ্যোগ এবং বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য পৃথিবীকে সব ধরনের ঝুঁকি থেকে রক্ষা করা এসডিজির অন্যতম লক্ষ্য। এবারের প্রতিপাদ্যে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে সামাজিক ভারসাম্যহীনতা দূরীকরণ, টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের মাত্রা সীমিতকরণের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। এসডিজির লক্ষ্য অর্জনে দেশীয় শিল্পের বিকাশে মানসম্মত পণ্য উৎপাদন, রপ্তানি বাণিজ্য সম্প্রসারণের পাশাপাশি ভোক্তাসাধারণের স্বার্থরক্ষায় মানসম্মত খাদ্য ও পণ্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতীয় মান সংস্থা হিসেবে বিএসটিআই পণ্যের মান প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের দায়িত্বে নিয়োজিত। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্ব ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বিএসটিআই ১৯৭৪ সালে আন্তর্জাতিক মান সংস্থা International Organization for Standardization (ISO) এর সদস্যপদ লাভ করে। সদস্যপদ অর্জনের পর থেকে ‘আন্তর্জাতিক মান’ অনুসরণ করে পণ্যের মান প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশে-বিদেশে বাণিজ্য সম্প্রসারিত হয়ে নতুন নতুন বাজার উন্মুক্ত হচ্ছে। এ ধারা অব্যাহত রাখতে দেশীয় শিল্প উদ্যোক্তা ও আমদানিকারকগণ মানসম্মত পণ্য উৎপাদন, আমদানি, বিপণন এবং পণ্যের সঠিক ওজন ও পরিমাপ নিশ্চিতকরণে অধিকতর মনোযোগী হবেন বলে প্রত্যাশা করছি।
তিনি বলেন, বিএসটিআই দেশের খ্যাতিমান বিজ্ঞানী, প্রযুক্তিবিদ এবং বিশেষজ্ঞগণের সহায়তায় তাদের গবেষণালদ্ধ জ্ঞান কাজে লাগিয়ে পণ্য ও সেবার মান প্রণয়ন করছেন। এ সকল মানের সঠিক বাস্তবায়ন, নিরাপদ পরিবেশ ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করবে। এছাড়াও পণ্য ও সেবার মান নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউট আইন-২০১৮ প্রণয়ন করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পদার্পণ করেছে। আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে শিল্পসমৃদ্ধ উন্নত দেশে রূপান্তরের লক্ষ্যে পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আওয়ামী লীগ সরকার কাজ করছে। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিল্পপণ্য ও সেবার গুণগত মান সুরক্ষায় কার্যক্রম সম্প্রসারণ ও জোরদার এবং এসডিজি’র লক্ষ্য অর্জনে বিএসটিআই আরও উদ্যোগী ভূমিকা পালন করবে বলে আমি আশা করি। আমি ‘বিশ্ব মান দিবস’ উপলক্ষে বিএসটিআই আয়োজিত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।