স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই ডিজেল আর কেরোসিনের দাম বাড়ানো হয়েছে। রোববারের বিআরটিএ’র ভাড়া পুনর্নির্ধারণ কমিটির বৈঠক থেকে পরিবহণ ধর্মঘটের বিষয়ে শান্তিপূর্ণ সমাধান আসবে।
শুক্রবার বিকালে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউতে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ষড়যন্ত্র করে নয়, জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েই বারবার ক্ষমতায় আসছে আওয়ামী লীগ। তাই এই দলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে কোনো লাভ হবে না। নেতাকর্মীরাই আওয়ামী লীগের শক্তি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, তৃণমূলের কারণেই আজ আওয়ামী লীগ শক্তিশালী দল।
বাংলাদেশ সব ধর্মের মানুষের উলেখ করে তিন বলেন, সব সাম্প্রদায়িক হামলার মুখোশ উন্মোচন করা হচ্ছে। দেশ থেকে সাম্প্রদায়িক সব অপশক্তি দূর করা হবে বলেও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
এদিকে কোনো আলোচনা ছাড়াই জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধিতে ক্ষুব্ধ পরিবহণ মালিক সমিতির নেতাকর্মীরা। বুধবার রাতে প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্য ৬৫ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ৮০ টাকা করা হয়।
প্রতিবাদে শুক্রবার সকাল থেকে ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও লরিচালক-মালিকরা গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন। তাদের সঙ্গে যোগ দেন বাসচালক-মালিকরাও।
ডিজেল ও করোসিনের দাম লিটারে ১৫ টাকা বৃদ্ধি করায় দেশে তীব্র প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। ক্ষোভ প্রকাশ করছেন সাধারণ মানুষ। ডিজেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে শুক্রবার সকাল থেকে পরিবহণ মালিক-শ্রমিকরা সারা দেশে ধর্মঘট শুরু করেছেন ভাড়া বৃদ্ধির দাবি নিয়ে।
এ অবস্থায় ডিজেল ও করোসিনের দাম কেন বাড়ানো হয়েছে- সেটির ব্যাখ্যা দিয়েছে সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। ব্যাখ্যায় বলা হয়, সার্বিক প্রেক্ষাপটে বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থে সরকার গত ৪ নভেম্বর থেকে দেশে ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্য পুনঃনির্ধারণ করেছে। যদিও আশেপাশের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে ডিজেলের মূল্য এখনও কম।
গত ৩ নভেম্বর ভারতের কলকাতায় ডিজেলের মূল্য ছিল ১০১.৫৩ রুপি/লিটার বা ১২৪.৩৭ টাকা। তেলের ভেজালরোধে কেরোসিনের মূল্য ডিজেলের সমান রাখা হয়। আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য হ্রাস পেলে সরকার পুনরায় ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্য সমন্বয়ের উদ্যোগ গ্রহণ করবে।