 
                                            
                                                                                            
                                        
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে বরিশালে মোমবাতি জ্বালিয়ে আলোর মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা। শনিবার (৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় নগরীর অশ্বিনী কুমার হল থেকে শুরু করে মিছিলটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। এ সময়ে শতাধিক আন্দোলনকারী বিভিন্ন স্লোগান, দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করেন।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী তুবা বলেন, আমাদের চেতনার উৎস যারা বৈষম্য বাতিলে প্রাণ দিয়ে গেছেন। তাদের শ্রদ্ধা জানাতেই আমাদের এই মোমবাতি মিছিল। আমরা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরবো না। প্রতিটি ছাত্র-ছাত্রীকে জিজ্ঞেস করুন। তারা মৃত্যুকে এখন আর ভয় পায় না। মৃত্যুর জন্য আমরা প্রস্তুত।
আরেক শিক্ষার্থী দিব্য বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকেই আমরা শিখেছি অধিকার আদায় করতে লড়াই করতে হয়। আমরা সেই লড়াইয়ে নেমেছি। বাঙালি কখনো পরাজয় মেনে নেয়নি। এবারও আমরা একটি বৈষম্যহীন, শোষণমুক্ত সমাজ গঠন করেই ঘরে ফিরবো। ১৯৭১ সালের লড়াই ছিল স্বাধীনতার আন্দোলন। ২০২৪ সালের আন্দোলন রাষ্ট্র সংস্কারের আন্দোলন।
আন্দোলনকারীরা ছাত্র-জনতা হত্যার দায় নিয়ে সরকারকে দ্রুত সরে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।
এর আগে বেলা ১১টায় সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজ থেকে বিক্ষোভ শুরু করে আন্দোলনকারীরা। নথুল্লাবাদ পৌঁছতেই বিক্ষোভে মানুষের ঢল নামে। তারা মহাসড়ক ধরে আমতলার মোড়-প্রায় দুই কিলোমিটার পায়ে হেঁটে বিক্ষোভ করেন। সেখানে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের কর্মসূচিতে একাত্মতা জানিয়ে বিকেল ৩টার দিকে কর্মসূচি শেষ করেন। এর আগে সোয়া ২টার দিকে চৌমাথায় এক পুলিশ কনস্টেবলকে মারধর, পুলিশ বহনকারী গাড়ি ও পুলিশ বক্স ভাংচুর করে। এ ঘটনায় আটকে পরা চার পুলিশ সদস্যকে দুই ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয়।
বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের কর্মসূচিতে কোনো বাধা দেইনি। তারপরও শিক্ষার্থীরা অযথা পুলিশের ওপর হামলা করেছে।