শিগগিরই লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হবে জানিয়েছেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। তিনি বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশনায় ও শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনকে একটি সত্যিকার অর্থে কার্যকর প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। অচিরেই প্রতিষ্ঠানটিতে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হবে। জয়নুল আবেদিনের স্বপ্নের লোক ও কারুশিল্পবান্ধব একটি প্রতিষ্ঠানে এটিকে রূপান্তর করা হবে।
শুক্রবার সকালে রাজধানীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বকুলতলায় শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের ১০৩তম জন্মজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে চারুকলা অনুষদ আয়োজিত ‘জয়নুল উৎসব ২০১৭’- এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
আসাদুজ্জামান নূর বলেন, লোকশিল্প জাদুঘরকে আরো সমৃদ্ধকরণসহ এটিকে সম্প্রসারণের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এ সংক্রান্ত একটি প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন। লোকশিল্পীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রস্তুতের জন্য জরিপ কাজ শুরু হয়েছে। তাছাড়া এ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় গবেষণাকর্মের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
প্রধান অতিথি বলেন, বঙ্গবন্ধু সবসময় কবি, লেখক ও শিল্পীদের পাশে ছিলেন এবং তাদের যথাযথ সম্মান দিয়েছিলেন। বর্তমান সরকার বঙ্গবন্ধুর পদাঙ্ক অনুসরণ করে একইভাবে কবি, লেখক ও শিল্পীদের যথাযথ সম্মান এবং সুযোগ-সুবিধা প্রদানের চেষ্টা করছে । শিল্পকলায় ৬৫জন ভারতীয় শিল্পীর ছাপচিত্রের প্রদর্শনী চলছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এতে করে ভারত ও বাংলাদেশ দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের মধ্যে শিল্প ও সাংস্কৃতিক বন্ধন দৃঢ় হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিমস্টেকের সেক্রেটারি জেনারেল এম সহিদুল ইসলাম এবং প্রকৌশলী ময়নুল আবেদিন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন। চিত্রশিল্প প্রসার ও বিকাশে বিশেষ অবদানের জন্য তিনজন বিখ্যাত শিল্পীকে জয়নুল সম্মাননা প্রদান করা হয়- তারা হলেন ভারতবর্ষের বিখ্যাত শিল্পী সনৎ কর, বাংলাদেশের বরেণ্য চিত্রশিল্পী মুস্তাফা মনোয়ার ও অধ্যাপক রফিকুন নবী।