লক্ষ্যটা ৩৩০-৩৪০ হলে গল্পটা অন্যরকম হতো : মাশরাফি

লেখক:
প্রকাশ: ৫ years ago

শুধু বিশ্বকাপ কেন, পুরো ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসেই ৩৮১ বা তার বেশি রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড রয়েছে মাত্র ১টি। ২০০৬ সালে অস্ট্রেলিয়ার করা ৪৩৪ রানের সংগ্রহ তাড়া করে জিতেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।

আর বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড আয়ারল্যান্ডের। ২০১১ সালের আসরে ইংল্যান্ডের করা ৩২৯ রানের সংগ্রহ তাড়া করে জিতেছিল আইরিশরা।

ফলে আজ (বৃহস্পতিবার) নটিংহ্যামের ট্রেন্টব্রিজে অস্ট্রেলিয়ার করা ৩৮১ রানের সংগ্রহ টপকে যেতে হলে রীতিমতো বিশ্বরেকর্ডই গড়তে হতো বাংলাদেশ দলকে। যা করতে পারেনি টিম টাইগাররা।

তবে একেবারেই মুখ থুবড়ে পড়েননি সাকিব, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহরা। অস্ট্রেলিয়ান গতিতারকাদের জবাব দিয়ে ৩৩৩ রান পর্যন্ত যেতে পেরেছে বাংলাদেশ। যা কিনা ওয়ানডে ক্রিকেটে টাইগারদের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ।

কিন্তু তাতে কী? লক্ষ্য তো ছিলো ৩৮২ রানের! যে কারণে জুটেছে ৪৮ রানের পরাজয়। তাই তো ম্যাচ শেষে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার কণ্ঠে ঝরে পড়লো বোলিংয়ের সময় ৪০-৫০ রান বেশি খরচ করার আক্ষেপ।

তার মতে অস্ট্রেলিয়াকে ৩৩০-৩৪০ রানে আটকে রাখতে পারলে রান তাড়ার গল্পটা অন্যরকম হতে পারতো। ম্যাচশেষে পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে মাশরাফি বলেন, ‘আমি মনে করি আমরা প্রথম ইনিংসে ৪০-৫০ রান বেশি দিয়ে ফেলেছি। অন্যথায় ওদের রান ৩৩০-৩৪০ হলে গল্পটা ভিন্ন হতে পারত।’

ব্যাটসম্যানদের যথাযথ কৃতিত্ব দিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘মুশফিক, সাকিব, তামিম দারুণ ব্যাটিং করেছে। মাহমুদউল্লাহও শেষ পর্যন্ত দুর্দান্ত ছিলো। এটাই ওয়ানডেতে আমাদের সেরা দল। সত্যি বললে আমরা প্রথম বল থেকেই ইতিবাচক ছিলাম। শুরুতে সৌম্য আউট হয়ে গেলেও তামিম-সাকিব ভালো জুটি গড়েছে। কিন্তু ৩৮১ রান আসলে অনেক বেশিই ছিল।’

এসময় অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যানদেরকেও তাদের প্রাপ্য কৃতিত্ব বুঝিয়ে দেন টাইগার অধিনায়ক। তিনি বলেন, ‘তবে যত কথাই হোক, মূল কৃতিত্ব অবশ্যই ওয়ার্নার এবং অস্ট্রেলিয়ার অন্যান্য ব্যাটসম্যানদের। এখন আমাদের বাকি থাকা সব ম্যাচ জিততে হবে এবং অন্যদের ম্যাচের ফলাফলের দিকেও তাকিয়ে থাকতে হবে।’

আন্তর্জাতিকপ্রচ্ছদ এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
লাইফ সাপোর্টে থাকা অভিনেতা ও নির্মাতা হুমায়ূন সাধু মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বিষয়টি নিশ্চিত করে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। গণমাধ্যমকে ফারুকী বলেন, রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন হুমায়ূন সাধু। সেখানেই তার মৃত্যু হয় গত ২৯ সেপ্টেম্বর হুমায়ূন সাধুর প্রথম ব্রেন স্ট্রোক হয়। তখন তাকে চট্টগ্রামের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে তাকে ১৩ অক্টোবর রাজধানীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে স্থানান্তর করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। এরপর তাকে বিদেশে নিয়ে অস্ত্রোপচারেরও প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ২০ অক্টোবর হঠাৎ সাধুর দ্বিতীয় ব্রেন স্ট্রোক হয়। এরপর তাকে স্কয়ার হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ছবির মাধ্যমে অভিনয়ে পথ চলা শুরু হুমায়ূন সাধুর। অভিনয়ের পাশাপাশি নাটকও নির্মাণ করেছেন তিনি।
৫ years ago