 
                                            
                                                                                            
                                        
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ উখিয়ায় বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করে বলেছেন, নিরাপত্তা নিশ্চিত করেই রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরার ব্যবস্থা করা হবে। গতকাল রবিবার বিকাল সাড়ে চারটার দিকে রাষ্ট্রপতি ক্যাম্পের পরিস্থিতি ঘুরে দেখে এ কথা বলেন।
এসময় রাষ্ট্রপতি রোহিঙ্গাদের সঙ্গে খোলামেলা কথা বলে তাদের দুঃখ দুর্দশার বর্ণনা শুনেন। পুনরায় মিয়ানমারে ফিরে গেলে রোহিঙ্গারা পরিবারের মৃত বা আহত সদস্যদের মতো নির্যাতনের মুখোমুখি হওয়ার আশঙ্কার কথা রাষ্ট্রপতির কাছে তুলে ধরেন।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ তাদের বলেন, কেবল বাংলাদেশ নয়, সমগ্র বিশ্ব রোহিঙ্গাদের পাশে আছে। রোহিঙ্গারা যাতে সম্মানের সঙ্গে মিয়ানমারে ফেরত যেতে পারে এবং নিরাপত্তার সঙ্গে নিজ দেশে বসবাস করতে পারে, তা নিশ্চিত করে ফেরত পাঠানো হবে।
পরে রাষ্ট্রপতি রোহিঙ্গাদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন। ত্রাণ বিতরণ শেষে তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশের জন্য রোহিঙ্গারা একটা বোঝা; কিন্তু মানবিক দিক বিবেচনায় বাংলাদেশ তাদেরকে আশ্রয় দিয়ে সাধ্যমত রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। এখন চুক্তি হয়েছে; রোহিঙ্গারা যাতে নিজ দেশে সম্মানের সাথে ফিরতে পারে সেটা নিশ্চিত করা হবে। কারণ, মিয়ানমারের উপর আন্তর্জাতিক চাপ রয়েছে।
সম্প্রতি সম্পাদিত চুক্তির বাস্তবায়ন নিয়ে কতটা আশাবাদী সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, আলোচনাতো শুরু হলো। আলোচনা হলে ইমপ্রুভমেন্ট হবে। হুদায়বিয়া চুক্তির উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ওই চুক্তি শুরুতে অপমানজনক মনে হলেও পরে সেটা উপকারী হয়েছিল।
এর আগে রাষ্ট্রপতি বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বায়োমেট্রিক নিবন্ধন কেন্দ্র ও সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রিত চিকিত্সা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া (বীর বিক্রম) এ সময় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ছিলেন। রোহিঙ্গাদের সার্বিক পরিস্থিতি ও ত্রাণ কার্যক্রমের বিষয়ে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক আলী হোসেন। নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদসহ সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।