শেষ ওভারে দরকার ছিল ২৩ রান। ইংল্যান্ডের হাতে ৩ উইকেট। ২ বলে চার-ছয় মেরে ম্যাচটা জমিয়ে দিলেন ইংলিশ পেসার জোফরা আর্চার। এরপর টানা ২টি ওয়াইড। ভারত শিবিরে রাজ্যের দুশ্চিন্তা। রোহিত-হার্দিকদের কপালে ভাঁজ।
চতুর্থ বলে আর্চার কভারে ঠেলে দিয়ে ১ রান নেন। তাতে শেষ ২ বলে জয়ের জন্য ৯ রান দরকার হয় ইংল্যান্ডের। পঞ্চম বলটি কভার দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে হার্দিক পান্ডিয়ার তালুবন্দি হন ক্রিস জর্ডান। তাতে জয়ের সম্ভবনা সেখানেই শেষ হয়ে যায়। শেষ বলে কোনো রান নিতে পারেননি আর্চার। তাতে ৮ রানের রুদ্ধশ্বাস জয়ে সিরিজে সমতা আনে ভারত।
বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যায় আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৮৫ রান করে ভারত। এই লক্ষ্যে খেলতে নেমে ১৭৭ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে থামে ইংল্যাড। ৫ ম্যাচের সিরিজে এখন ২-২ সমতা। শেষ ম্যাচটি হয়ে দাঁড়ালো অলিখিত ফাইনাল।
ইংল্যান্ডের শুরুটা ভালো হয়নি। মাত্র ৯ রান করে ফেরেন বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান জস বাটলার। জেসন রয় খেলছিলেন দারুণ। তিনে ব্যাটিং করতে নেমে মালানও ফেরেন ১৪ রান করে। এর পরপরই ৪০ রান করে ফেরেন রয়। তার ২৭ বলের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৬টি চার ও ১টি ছয়ে।
ঘুরে দাঁড়িয়ে দারুণ খেলছিল সফরকারীরা। কিন্তু দলীয় ১৩১ থেকে ১৪০ রান পর্যন্ত যেতে ইংল্যান্ড হারিয়ে ফেলে গুরুত্বপূর্ণ ৩টি উইকেট। দুই সেট ব্যাটসম্যান জনি বেয়ারস্টো ২৫ ও বেন স্টোকস ফেরেন সর্বোচ্চ ৪৬ রানে। স্টোকস আউট হওয়ার পরের বলে অধিনায়ক মরগ্যান ফেরেন ০ রানে। আর্চার-জর্দানরা চেষ্টা করলেও আর ম্যাচ বের করে নিয়ে আসতে পারেননি। আর্চার ১৮ রান করে অপরাজিত থাকেন।
শার্দুল ঠাকুর সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন। ২টি করে উইকেট নেন হার্দিক পান্ডিয়া ও রাহুল চাহার।
এর আগে বাঁচা-মরার চতুর্থ টি-টোয়েন্টি খেলতে নেমে সূর্যকুমারের ঝোড়ো হাফসেঞ্চুরিতে ইংল্যান্ডকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয় ভারত। ওপেনার রোহিত শর্মা ফেরেন ১২ রান করে। লোকেশ রাহুল পাচ্ছেন না বড় রানের দেখা৷ এবার আউট হলেন ১৪ রানে। তিনে নেমে ঝড় তোলেন সূর্যকুমার যাদব। মাত্র ৩১ বলে ৬টি চার ও ৩টি ছয়ে করেন ৫৭ রান।
দারুণ ফর্মে থাকা অধিনায়ক কোহলি আউট হন ১ রান করে। শেষ পর্যন্ত ঋষভ পান্তের ২৩ বলে ৩০ ও শ্রেয়াস আইয়ারের ১৮ বলে ৩৭ রানের ঝোড়ো ইনিংসে ১৮৫ রান করতে পারে ভারত। ওয়াশিংটন সুন্দর ১০ রান করে অপরাজিত ছিলেন।
ইংলিশদের হয়ে ৪ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন জোফরা আর্চার। ১টি করে উইকেট নেন আদিল রশিদ, বেন স্টোকস, মার্ক উড ও স্যাম কুরান।