জেলে প্রবেশের পরেও ডেরা সচ্চা সওদার প্রধান ধর্ষক গুরমিত রাম রহিমের একের পর এক ঘৃণ্য ঘটনার কথা সামনে আসছে। নিজের আশ্রমের দুই সাধ্বীকে ধর্ষণের দায়ে ২০ বছরের জন্য জেল হয়েছে তার।
শুধু সাধ্বীই নয়, শিশুরাও তার অত্যাচার থেকে ছাড়া পায়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।
বাবার ডেরাতে এক ১০ বছরের বালকও থাকত। এক ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, সেই বালক পুলিশকে জানিয়েছে, রাম রহিম তাকে অস্বাভাবিক যৌনক্রিয়ায় লিপ্ত হতে বাধ্য করত। শুধু রাম রহিম নিজে নয়, রাম রহিমের কয়েকজন সেবকও এই কাজে যুক্ত ছিল। এদের মধ্যে থেকে দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ওই বালকের মেডিক্যাল টেস্ট করিয়ে নিশ্চিত হয় যে, ওই বালককে অস্বাভাবিক যৌনক্রিয়ায় লিপ্ত করা হতো। এই ব্যাপারে মুখ খুললে, প্রাণে মেরে ফেলা হবে— এই বলে ছেলেটিকে হুমকিও দিত রামরহিমের সেবকরা।
বালক পুলিশকে জানিয়েছে যে, এক বছর আগে তাকে রামরহিমের ডেরায় তাকে ছেড়ে যান মা-বাবা। সেখানেই রামরহিমের এক সেবক ছোটা মনি অশ্লীল কাজ করাতো বালককে দিয়ে। সেই কথা আর এক সেবক জগগি বাবাকে জানায়, সেও বালককে বেধড়ক মারধর করে। আর তার পর থেকে দু’জনে মিলে অত্যাচার চালাতে থাকে বালকের উপরে।