 
                                            
                                                                                            
                                        
চাকরির পরীক্ষায় পাস করানোর চক্রে জড়িয়ে রাজশাহীতে গ্রেপ্তার হওয়া পুলিশের দুই কনস্টেবল ও এক সহকারী উপপরিদর্শকের (এএসআই) রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ওই তিন আসামির পাঁচ দিন করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রাজপাড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নুরুন্নবী হোসেন।
রাতে রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) মুখপাত্র জামিরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘এ ধরনের মামলায় আসামিদের তো রিমান্ডের আবেদন করা হবেই। রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে, তবে শুনানি হয়নি। মঙ্গলবার (৫ ফেব্রুয়ারি) শুনানি হতে পারে।’
গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে থাকা এ তিন পুলিশ সদস্য হলেন, পুলিশের এএসআই গোলাম রাব্বানী (৩৩), কনস্টেবল আবদুর রহমান (৩২) ও শাহরিয়ার পারভেজ শিমুল (৩১)। আবদুর রহমান ও শাহরিয়ার পারভেজ শিমুল আরএমপির সদর দপ্তরে কর্মরত ছিলেন। এএসআই গোলাম রাব্বানী কর্মরত ছিলেন দিনাজপুরের পার্বতীপুর থানায়। তিনিও আগে পুলিশ কনস্টেবল ছিলেন। তখন ছিলেন আরএমপিতে। পদোন্নতি পেয়ে এএসআই হয়ে দিনাজপুর যান।
গত শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এই পরীক্ষার আগে একটি প্রতারকচক্রের সঙ্গে পুলিশের এই সদস্যরা ১৫-২০ জন চাকরিপ্রার্থী পরীক্ষার্থীকে পাস করিয়ে দেয়ার চুক্তি করেন। এ জন্য পরীক্ষার্থীদের প্রত্যেককে ছোট আকারের হেডফোন সরবরাহ করেন। এই হেডফোনের মাধ্যমে বাইরে থেকে পরীক্ষার্থীকে প্রশ্নের সব উত্তর বলে দেয়ার কথা ছিল। এ জন্য পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে ১০ থেকে ১২ লাখ টাকার করে চুক্তি করা হয়েছিল।
বিষয়টি জানতে পেরে পরীক্ষার আগের রাতে আরএমপির গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা তিন পুলিশ সদস্যকে আটক করেন। আসামি শাহরিয়ার পারভেজের ভাড়া বাসা থেকে ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস সংযুক্ত ১৬টি গেঞ্জি, ১৩টি চুম্বক দণ্ড, ক্ষুদ্র গোলাকৃত্রির চুম্বকযুক্ত ২৬টি ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস, ১৫টি সাদা রংয়ের মোবাইল ফোনের চার্জার, ২টি স্ট্যাম্প, দুটি চেক, টাকা পাঠানোর দুটি রশিদ এবং নগদ ৮ হাজার টাকা জব্দ করা হয়। এ নিয়ে গত শনিবার কারিমা খাতুন নামের এক ভুক্তভোগী চাকরিপ্রার্থী মামলা করেন। পরে সেদিনই তিন আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়।