জাতীয়করন মানদন্ড নির্ধারনের সব সূচকে এগিয়ে থাকার পরেও জাতীয়করন তালিকায় নেই পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী সদরের প্রায় শত বছরের ঐতিহ্যবাহী রাঙ্গাবালী মডেল বিদ্যালয়। মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের অসত্য তথ্য প্রদানে বঞ্চিত হয়েছে সংশ্লিস্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়রা। ফলে হতাশ ও ক্ষুদ্ধ শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়রা বিদ্যালটিকে জাতীয়করনের দাবীতে পালন করছে নানা কর্মসূচী।
নদী আর সাগর বেষ্ঠিত পটুয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা রাংগাবালীর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন জনগোষ্ঠীকে শিক্ষায় আলোকিত করতে ১৯২৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় রাংগাবালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়। মালটিমিডিয়া শ্রেনী কক্ষ, সুসজ্জিত কম্পিউটার ল্যাব, সম্মৃদ্ধ পাঠাগার, উন্নত বিজ্ঞানাগার, শতভাগ পাশের হার নিয়ে ২০১৫তে মডেল বিদ্যালয় এবং ২০১৭তে উপজেলার শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ হিসাবে স্বকৃতী পায়। শিক্ষার গুনগত মান অর্জনসহ সব সূচকে এগিয়ে রয়েছে প্রায় ২.৫ একর ভ’মির উপড় অবস্থিত উপজেলা সদরের রাঙ্গাবালী মডেল বিদ্যালয়।
এ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, ওই বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি এবং রাঙ্গাবালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাইদুজ্জামান মামুন খান, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এস আলম, রাঙ্গাবালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনজু হাওলাদার ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ প্রমুখ।
মাধ্যমিক বিদ্যালয় জাতীয়করন নীতিমালা অনুযায়ী উপজেলা পরিষদ হতে কম দুরত্ব, সর্বোচ্চ সংখ্যক শিক্ষার্থী, বিগত পাঁচ বছরের ফলাফল, উন্নত অবকাঠামো এবং উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থায় অবস্থিত বিদ্যালয়টিকে জাতীয়করন করা হবে। কিন্তু বিদ্যালয় জাতীয়করনের সকল শর্ত থাকা সত্বেও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের অসত্য তথ্য উপস্থাপনের ফলে তালিকাভুক্ত হয়নি বিদ্যালয়টি। ফলে বঞ্চিত এবং হতাশ হয়েছে বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অবিভাবকসহ স্থানীয়রা। ক্ষুদ্ধরা জাতীয়করনের দাবীতে মানববন্ধনসহ প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আ.মালেক জানান, উপজেলা সদরের জিরো কি.মি. এ আবস্থিত আমাদের বিদ্যালয়। আধুনিক অবকাঠামোসহ ঐতিহ্যবাহী শ্রেষ্ঠ এ বিদ্যাপীঠকে তথ্য বিভ্রান্তিেেত ফেলে উপজেলা সদর হতে ২২কি.মি. দুরের একটি বিদ্যালয়কে ৮কি.মি দুরত্ব দেখিয়ে জাতীয়করন তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। তাদের পাশের হার, আবকাঠামো দুর্বলতা রয়েছে। ল্যাব সুবিধাও নেই।
বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদ সভাপতি ও সদর ইউপি চেয়ারম্যান মামুন খান বলেন, একটি কুচক্রী মহলের কালো থাবায় ঐহিত্যবাহী রাঙ্গাবালী মডেল বিদ্যালয়কে পাশ কাটিয়ে ২২ কি.মি. দুরের একটি বিদ্যালয়কে জাতীয়করন করা হয়েছে। আমরা এ সিদ্বান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আশা করি তদন্ত করে সঠিক সিদ্বান্ত নেবে সংশ্লিস্ট কর্র্তপক্ষ।
রাঙ্গাবালী মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোখলেছুর রহমান বলেন, বিদ্যালয জাতীয়করনের সিদ্বান্ত আমাদের হাতে নয়। আমরা শুধু ছক অনুযায়ী তথ্য প্রদান করেছি। তথ্য প্রদানে ভ’ল ভ্রান্তি হতে পারে। তবে উপজেলা সদরের রাঙ্গাবালী মডেল বিদ্যালটি জাতীয়করন হওয়া উচিৎ।