আওয়ামী লীগ সরকারে এসে সারাদেশে ব্যাপক যোগাযোগ নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে সমর্থ হয়েছে। এ কারণে এখনও দেশের অর্থনীতির চাকা সচল বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার মাগুরা, নারায়ণগঞ্জ ও যশোরের তিনটি সেতু এবং পাবনায় একটি স্বাধীনতা চত্বরের উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।
গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর আমরা সারাদেশে যোগাযোগের ব্যাপক নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছি। যার ফলে, আজ আমাদের অর্থনীতির চাকা অনেক সচল। আরও অনেক কাজ আমরা শুরু করেছি, সেগুলোও সম্পন্ন করব, ইনশাল্লাহ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দারিদ্র্যের সীমা যেমন আমরা কমিয়ে এনেছি, মাথাপিছু আয় আমরা বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছি, মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হচ্ছে। গ্রামপর্যায় পর্যন্ত মানুষের জীবনমান যে উন্নত করা যায় সেটাও আমরা প্রমাণ করেছি। সেইসাথে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, বিদ্যুৎ সুবিধা নিশ্চিত করা এবং উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করার সুযোগ, বিদেশ থেকে বিনিয়োগ আনার ব্যবস্থা, সর্বোপরি অর্থনীতির চাকাটা যাতে সব সময় সচল থাকে সেসব দিকে বিশেষভাবে নজর দিয়েই সরকার পরিকল্পনা প্রণয়ন ও উন্নয়নের কাজ বাস্তবায়ন করছে।
তিনি আরও বলেন, ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর ধারাবাহিকভাবে সরকারে আছি বলেই আজ আমরা দেশের মানুষের উন্নতি-টা করতে পারছি। আমরা কিন্তু হঠাৎ করেই কিছু করিনি। আওয়ামী লীগ যখন বিরোধী দলে তখনও কিন্তু আমাদের পরিকল্পনা ছিল। কেননা, জাতির পিতা আমাদের যে সংবিধান দিয়ে গেছেন, সেখানে দেশের মানুষের উন্নয়নের কথা, মৌলিক চাহিদাগুলো বাস্তবায়নের কথা স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে। কাজেই, যখনই সরকারে এসেছি পরিকল্পিত উন্নয়নের উদ্যোগ নিয়েছি এবং যার সুফল এখন দেশের মানুষ পাচ্ছে। এই তিনটি সেতু মহম্মদপুর, রূপগঞ্জ ও অভয়নগরবাসীর জন্য মুজিববর্ষের উপহার।
প্রধানমন্ত্রী যে প্রকল্পগুলোর উদ্বোধন করেছেন সেগুলো হচ্ছে- মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলাধীন মধুমতি নদীর ওপর এলাংখালী ঘাটে ৬০০ দশমিক ৭০ মিটার দীর্ঘ শেখ হাসিনা সেতু, নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলাধীন মুড়াপাড়া ফেরিঘাট রাস্তায় শীতলক্ষ্যা নদীর ওপর ১০০০০ মিটার চেইনেজে ৫৭৬ দশমিক ২১৪ মিটার দীর্ঘ বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম দস্তগীর গাজী (বীরপ্রতীক) সেতু এবং যশোর জেলার অভয়নগর উপজেলায় সড়ক ও জনপথের যশোর-খুলনা সড়কের ভাঙ্গাগেট (বাদামতলা) হতে আমতলা জিসি ভায়া মরিচা, নাউলী বাজার সড়কে ভৈরব নদীর ওপর ৭০২ দশমিক ৫৫ মিটার দীর্ঘ সেতু।
উত্তরবঙ্গের প্রবেশ দ্বার পাবনায় বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বকুল স্বাধীনতা চত্বরেরও উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।