বেশ ঘটা করে বিয়ে হয়েছিল। জমকালো আয়োজন। দোয়া-শুভেচ্ছায় ভেসেছিলেন নবদম্পতি। কিন্তু বিয়ের দুই বছরের মাথায় এলো বিচ্ছেদের খবর। তরুণ প্রজন্মের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী সাজিয়া সুলতানা পুতুলের সংসার ভেঙে গেল।
গতকাল রোববার (১৪ মার্চ) রাতে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে বিবাহিত জীবনের ইতি টানার খবরটি নিজেই জানান পুতুল। এই পোস্টে তিনি সংসার না করতে পারার কারণও উল্লেখ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘দুই বছর আগে বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলাম, ঢুকেছিলাম যুগল জীবনযাপনে। বিবাহিত জীবনের খুব অল্প দিনের মাথায় বুঝেছিলাম পথটা কঠিন থেকে আরও কঠিন হচ্ছে। এই পথটা ঠিক যেন আমার কল্পনার সেই পথটা নয়। যে পথে আনন্দে হেঁটে যাওয়া যায়। মত আর আদর্শিক পার্থক্যগুলো নিছক পার্থক্য থেকে রূপ নিচ্ছিল চূড়ান্ত দ্বন্দ্বে।
সম্পর্ক মুমূর্ষু হচ্ছিল, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল আমার সৃষ্টিশীল সত্তা। বিচ্ছিন্নতার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম তখনই। হয়েছিল বিচ্ছেদ। অতঃপর আবার আমার সেই একক জীবনে ফেরা।’
পোস্টে পুতুল আরও লেখেন, ‘সুর আর সাহিত্যের সাথে নির্বিঘ্ন একক সংসার। বিয়েটা ঘটা করে হওয়ার বিষয়। বিচ্ছেদে ঘটা করার কিছু নেই। বিচ্ছেদে বিষাদের সুর বাজে আত্মায়। সেই সুর মন পাড়াতে একলা বাজাই ভালো। সবাইকে নিয়ে সেই বিচ্ছেদি সুর উদযাপনের কিছু নেই।
কিন্তু চূড়ান্ত সত্য এই, বিষাদে কোথাও মুক্তির গন্ধ মিশে থাকে, থাকে মুমূর্ষুতার অবসানে লম্বা করে নিশ্বাস নেওয়া। জীবনটা বেঁচে ওঠার সুযোগ পায় আরও একবার। সেই জীবনটাকে বাঁচিয়ে দেওয়া জীবনের প্রতিই সুবিচার বলে বিশ্বাস করি।’
বিচ্ছেদ হয়েছে অনেক আগে। সেটা লুকিয়ে রেখেছিলেন পুতুল। তার কারণ জানিয়ে পুতুল লিখেছেন, ‘এত দিন পর এই কথাগুলো বলার একটাই কারণ, সম্পর্কটার ভেতরে থাকলে যৌথ জীবন উদযাপনের দুই বছর হতো আজ। যেহেতু একক জীবন যাপন করছি, এই দিনটার কোনো বিশেষত্ব বা মহিমা নেই। বছরের অন্য দিনগুলোর মতোই একটা তারিখমাত্র।
শুভেচ্ছা, শুভকামনা জানানোর কিছু নেই। জীবন সহজ হওয়ার স্বপ্নে যেমনি শুভকামনা জানাই নিজেকে নিজে প্রতিদিন, আজও তা জানাচ্ছি। ফেসবুক যতই স্মৃতিতে ফেরাতে চাক দুই বছর আগের আজকের দিনে, নিজের কাছে নিজের প্রত্যয় কেবলই সামনে তাকানোর।’
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ১৫ মার্চ বাগদান হয়েছিল পুতুলের। তার সাবেক স্বামী কানাডাপ্রবাসী আলোকচিত্রী ইসলাম নুরুল।