যুক্তরাষ্ট্রে অর্ধ শতাধিক ‘ইরানি’ আটক

লেখক:
প্রকাশ: ৫ years ago

ইরানি বংশোদ্ভূত মার্কিনিসহ অন্তত ৬০ ইরানিকে আটক করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্য কর্তৃপক্ষ। কানাডা থেকে যুক্তরাষ্ট্র ফেরার পথে তাদেরকে আটক করা হয়। শুক্রবার মার্কিন হামলায় ইরানের শীর্ষ জেনারেল কাসেম সোলেইমানি নিহত হওয়ার পর দুই পক্ষের হুমকি ও পাল্টা হুমকির মধ্যে এই আটকের ঘটনা ঘটলো।

মার্কিন দৈনিক নিউ ইয়র্ক টাইমস ও সংবাদমাধ্যম পলিটিকোর প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, কানাডা সীমান্ত লাগোয়া ওয়াশিংটনের ব্লেইন এলাকার পিচ আর্চ সীমান্ত দিয়ে নিজ নিজ কাজ শেষে এসব ইরানি যুক্তরাষ্ট্রে ফিরছিলেন। সেখানে তাদের আটক করে যুক্তরাষ্ট্রের কাস্টমস ও সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ বাহিনী সিবিপি।

কাউন্সিল অব আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশন্স (কেয়ার) নামক এক সংস্থার বরাতে দিয়ে মিডল ইস্ট আই জানায়, ইরানি পপ কনসার্ট উপভোগ করতে কানাডার ভাঙ্কুবারে গিয়েছিলেন ওই মার্কিন নাগরিকরা। কনসার্ট শেষে ফেরার পথে তাদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ইরানি নাগরিক কিংবা ইরানি বংশোদ্ভূত অন্তত ৬০ জনকে সীমান্ত এলাকায় আটক করার পর তাদেরকে ১১ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। মার্কিন দৈনিক নিউইয়র্ক টাইমস বলছে, স্থানীয় সময় শনিবার এসব আটককৃতদের রাজনৈতিক মতামত এবং আনুগত্য সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়।

বিবৃতি কেয়ার-এর ওয়াশিংটন শাখা জানায়, সীমান্ত পেরিয়ে ঘরে ফেরার সময় অনেক ইরান বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিককে আটক করা হয়। এসময় তাদের অনেককে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে বাধা দেয়া হয়। আটকের এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে ইরানিয়ান আমেরিকান কম্যুনিটি সংগঠন।

সম্মেলনে সংগঠনটির নেতা হোদা কাতেবি বলেন, ‘যাদের আটক করা হয়েছে তাদের বাপ-দাদা ইরানের হলেও তারা সবাই যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করেছেন। তাই জন্মসূত্রে তারা মার্কিন নাগরিক। কোনো কারণ ছাড়াই মার্কিন নাগরিককে ১১ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে আটকে রাখা এবং জিজ্ঞাসাবাদ আইনত অবৈধ।’

ওই বিবৃতির পর মার্কিন সীমান্তরক্ষী বাহিনী বলছে, ইরানি বংশোদ্ভুত হওয়ার কারণে এসব লোকজনকে আটক করা হয়নি। ওই সীমান্ত দিয়ে যেই আসুক তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেয়া হয়। এটা সীমান্তরক্ষী বাহিনীর রুটিন কাজের অংশ।