ময়মনসিংহে জাতীয় পার্টি ও মহানগর যুবলীগের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এসময় কয়েক রাউন্ড গুলিবর্ষনের ঘটনা ঘটে।
আর এই সংঘর্ষে কমপক্ষে চার জন আহত হয়েছেন। আহতরা হচ্ছেন জাহেদ আলী (২০), পারভেজ (২১), সোহেল (২৮) ও লিমন (২০)।
সোমবার রাত আটটার দিকে নগরীর চামড়াগুদাম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এসময় ঘন্টাখানেক ওই এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এদের মধ্যে জাহেদ ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর জখম হওয়ায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
তবে কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি কামরুল ইসলাম জানিয়েছেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করেই দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। কোনো গোলাগুলি হয়নি। বর্তমানে সম্পূর্ণ পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার বিকেলে মহানগর যুবলীগের সদস্য আরাফাত রহমান শাওনের সমর্থক সোহেল, পারভেজ ও লিমনকে মারধর করে আহত করেন একই এলাকার জাপা সমর্থন আশিক নামে এক যুবক। আশিক স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক আব্বাস আলী তালুকদারের কর্মী বলে জানা গেছে।
এরই পাল্টা জবাবে রাত আটটার দিকে আব্বাসের লোকজনের ওপর হামলা চালায় মহানগর যুবলীগ সদস্য শাওনের কর্মীরা। এসময় গুলি বর্ষণ, দোকানপাট ও বাড়িঘর ভাংচুর ও টায়ারে আগুন ধরিয়ে ঘন্টাব্যাপী বিক্ষোভ করে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন আনে।
জানতে চাইলে আব্বাস আলী তালুকদার বলেন, নগরীর চামরাগুদাম এলাকায় মাদক বিক্রি, সেবন ও জড়িতদের বিরুদ্ধে একটি কমিটি গঠনের জন্য পূরবী সিনেমা হলের সামনে একটি সভার আয়োজন করা হয়। কিন্তু ওই সভায় লোকজনের ওপর অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় শাওনের লোকজন।
অপরদিকে আরাফাত রহমান শাওনের দাবী, আমার এলাকার যুবলীগ কর্মীদেরকে আব্বাস তার জাতীয় পার্টিতে ভিড়াতে না পেরে তার ভাই আশিককে দিয়ে মারধর করান আমার কর্মীদের। ওই মারধরে আমার তিন যুবলীগকর্মী আহত হয়েছে।