নেপালে ইউএস-বাংলার উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় নিহত ৪৯ জনের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। রোববার থেকে মরদেহগুলো শনাক্তের প্রক্রিয়া শুরু হবে। সোম ও মঙ্গলবার থেকে সেগুলো দেশে পাঠানোর উদ্যোগ নেয়া হবে।
শুক্রবার দুপুরে নেপালের ত্রিভুবন ইউনিভার্সিটি (টিইউ) টিচিং হাসপাতালে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বাংলাদেশ থেকে নেপালে যাওয়া চিকিৎসকদের প্রতিনিধি দলের সদস্য ডা. সোহেল মাহমুদ।
শনাক্ত মরদেহগুলো সোম ও মঙ্গলবার দেশে পাঠানোর উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানান সেখানে উপস্থিত নেপালে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাশফি বিনতে শামস।
তিনি বলেন, ‘যেসব মরদেহ শনাক্ত করা হয়েছে, সেগুলোর হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। শনিবার বাংলাদেশে সরকারি ছুটি রয়েছে। ফলে এদিন তেমন কোনও কাজ হবে না। তবে আমরা আশাবাদী, রবিবার বা সোমবার নাগাদ শনাক্ত হওয়া মরদেহগুলো হস্তান্তর করা সম্ভব হবে।’
‘তবে এ হস্তান্তর প্রক্রিয়া মঙ্গলবারও গড়াতে পারে। ধরে রাখুন মঙ্গলবার হস্তান্তর করা যাবে মরদেহগুলো। তবে আবারও বলছি, আমরা চেষ্টা করব। এটা ওইভাবে নিশ্চিত করে বলা যাবে না।’
নেপালে উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় নিহত ২৬ বাংলাদেশির মধ্যে মাত্র আটজনের মরদেহ শনাক্ত করা গেছে।
উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৬৭ যাত্রী ও চার ক্রু নিয়ে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট বিধ্বস্ত হলে ৫১ জনের মৃত্যু হয়। ওই ফ্লাইটে থাকা ৩৬ জন বাংলাদেশির মধ্যে ২৬ জন নিহত হন।
দুর্ঘটনায় আহত ১০ বাংলাদেশির মধ্যে পাঁচজন নেপালের হাসপাতাল ছেড়েছেন। তাদের মধ্যে রেজওয়ানুলকে কাঠমান্ডুর ওএম হাসপাতাল থেকে সিঙ্গাপুরে নেয়া হয়েছে। শেহরিন আহমেদ, মেহেদী, স্বর্ণা ও এ্যানিকে কাঠমান্ডুর কেএমসি থেকে এনে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।