শায়েখে চরমোনাই মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেছেন, কাশ্মীরসহ গোটা দুনিয়ার মুসলমানরা আমাদের ভাই। মুসলমানরা সন্ত্রাস করেনা ও সাম্প্রদায়িকতা পছন্দ করে না। যার কারনে ভারতবর্ষ যখন মুসলিমরা শাসন করেছিলেন। তখন একজন অমুসলিমের ওপরও নির্যাতন হয়েছে এমন কোন প্রমাণ কেহ পেশ করতে পারবে না।
তিনি বলেন- মুসলমানরা শান্তিতে বিশ্বাস করে, জমিনে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্যই আল্লাহ তা’য়ালা ইসলাম ও মুসলিমদের পাঠিয়েছেন। কিন্তু আমরা লক্ষ করছি- ইতোপূর্বে মিয়ানমার, ফিলিস্থিন, ইরাক, আফগানিস্থানসহ দুনিয়ার মুসলিম বসতিগুলো ইসলামের শত্রুরা রক্তে রঞ্জিত করেছে। মুসলমানদের আর্তনাদে আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে। এরই ধারাবাহিকতায় ভারতের সন্ত্রাসী ও সাম্প্রদায়ীক হিন্দু সম্প্রদায় কর্তৃক যুগ যুগ ধরে কাশ্মীরসহ গোটা ভারতের মুসলমানদের ওপর নির্যাতনের ষ্টীমরোলার চালিয়ে যাচ্ছে। তার সাথে আবার নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে- গত ৫ আগষ্ট ২০১৯ থেকে কাশ্মীরে মুসলমানদের ওপর ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ নির্যাতন শুরু হয়েছে, ভারতীয় সাংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা খর্ব করা ও কাশ্মীরকে দ্বি-খন্ডিত করা হয়েছে।
আজ শুক্রবার বিকাল ৪টায় অশ্বিনী কুমার টাউন হল চত্ত্বরে বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলোনে উদ্যোগে কাশ্মীরে ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধান অতিথি আরো বলেন- মুসলমানদের ওপর থেকে হামলা, নির্যাতন, খুন, জ্বালাও-পোড়াও বন্ধ করুন, মুসলমানরা এতদিন সহ্য করেছে, ধৈর্য্যধারণ করেছে, এখন আর ধৈর্য্য নয় প্রতিরোধের পালা, মুসলমানদের ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙ্গেগেছে, কাশ্মীরের মুসলিমদের অধিকার ফিরিয়ে দিন। কাশ্মীর মুসলমানদের। কাশ্মীরের দিকে চোখ তুলে তাকালে চোখ তুলে ফেলা হবে। তিনি কাশ্মীর বিষয়ে বিশ্ব মুসলিমদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।
ইসলামী আন্দোলনের বরিশাল জেলা সভাপতি মুফতী সৈয়দ এছহাক মুহাম্মাদ আবুল খায়ের সভাপতিতত্বে বক্তব্য রাখেন মাওলানা সৈয়দ নাছির আহমাদ কাওছার, মাওলানা মুহাম্মাদ ইদ্রীস আলী, আলহাজ্ব আব্দুল মালেক কাফরা, মাওলানা লুৎফর রহমান, মাওলানা আব্দুল মান্নান, মাওলানা জাকারিয়া হামিদী, মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, মাওলানা জামিলুর রহমান, মাওলানা আবুল খায়ের, মুহাম্মাদ কাওছারুল ইসলাম, মাওলানা আবুল কালাম, মুহাম্মাদ শামীম ঢ়াড়ী। জনাব মুহাম্মাদ আব্দুল হাকীম, মাওলানা মুহাম্মাদ আরিফুর রহমান, এইচ এম সানাউল্লাহ, মুহাম্মাদ সাব্বির আহমেদ, মুহাম্মাদ আরমান হোসাইন রিয়াদ সহ আরো অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।